Logo

আন্তর্জাতিক

ফেরাউনের স্বর্ণের ব্রেসলেট চুরি!

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩২

ফেরাউনের স্বর্ণের ব্রেসলেট চুরি!

মিসরের রাজধানী কায়রোর একটি জাদুঘর থেকে ফেরাউনের এক অমূল্য স্বর্ণের ব্রেসলেট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় তিন হাজার বছর পুরোনো এ গয়নাটি মিসরের ২১তম রাজবংশের ফারাও আমেনেমোপের ছিল। ল্যাপিস লাজুলি পাথরে অলঙ্কৃত এ ব্রেসলেটটি সর্বশেষ জাদুঘরের পুনর্নবীকরণ ল্যাবরেটরিতে দেখা গিয়েছিল।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিসিএনএন’র প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

মিশরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ল্যাপিস লাজুলি পুঁতি দিয়ে সজ্জিত স্বর্ণের ব্রেসলেটটি সর্বশেষ তাহরির স্কয়ারের জাদুঘরের পুনরুদ্ধার পরীক্ষাগারে দেখা গিয়েছিল। বিষয়টি এখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও পাবলিক প্রসিকিউশন অফিসে পাঠানো হয়েছে।

জাদুঘরের মহাপরিচালক জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ব্রেসলেটের ছবি ঘুরছে, তা আসলে প্রদর্শনীর অন্য একটি ব্রেসলেট; নিখোঁজ ব্রেসলেটটি তা নয়।

ঐতিহাসিকদের মতে, ব্রেসলেটটির মালিক ছিলেন আমেনেমোপ। তিনি খ্রিস্টপূর্ব ১০৭৬-৭২৩ সালের মধ্যে মিসরের শাসক ছিলেন। তাকে প্রথমে সাধারণ কক্ষে দাফন করা হলেও পরবর্তীতে শক্তিশালী শাসক প্রথম পসুসেনেসের পাশে দ্বিতীয়বারের মতো দাফন করা হয়। তার সমাধি ১৯৪০ সালে আবিষ্কৃত হয়।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ব্রেসলেটটি চুরি হয়ে আন্তর্জাতিক প্রত্নসম্পদ বাজারে চলে যেতে পারে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেনসিক প্রত্নতত্ত্ববিদ ক্রিস্টোস সিরোজিয়ানিস বলেন, এ ধরনের ঘটনার পেছনে মূলত অবৈধ প্রত্নসম্পদ ব্যবসাই দায়ী। 

তিনি বলেন, চোরেরা ব্রেসলেটটি হয় পাচার করে বিক্রি করবে, নয়তো গলিয়ে ফেলবে। অথবা কোনও ব্যক্তিগত সংগ্রাহকের কাছে জমা হবে। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই জাদুঘরের আশপাশে ফেলে রাখা অবস্থায় এটি উদ্ধারও হতে পারে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, প্রাচীন মিসরীয় প্রত্নসম্পদ চোরাচালান দেশটির জন্য দীর্ঘদিনের উদ্বেগের কারণ। গত বছর আলেকজান্দ্রিয়ার উপকূলবর্তী আবু কির উপসাগর থেকে শত শত প্রত্নসম্পদ চুরি করে পাচারের চেষ্টা করার সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করেছিল কর্তৃপক্ষ।

এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

মধ্যপ্রাচ্য

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর