Logo

আন্তর্জাতিক

ভারতের লাদাখে রাজ্য স্বীকৃতির দাবিতে ‘জেন জি’ বিক্ষোভ, নিহত ৪

Icon

মেহেদী হাসান শোয়েব

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৩

ভারতের লাদাখে রাজ্য স্বীকৃতির দাবিতে ‘জেন জি’ বিক্ষোভ, নিহত ৪

ভারতের লাদাখে রাজ্য মর্যাদা এবং সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ‘জেন জি’ বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। লেহ শহরে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত এবং ৫০-এরও বেশি আহত হয়েছেন। 

বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দলীয় কার্যালয়, হিল কাউন্সিলের সদর দপ্তর ও পুলিশের যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং লাটিচার্জ ব্যবহার করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আত্মরক্ষার জন্য পুলিশকে গুলি চালাতে হয়েছে।

বিক্ষোভের মূল কারণ লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া এবং ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি। লেহ অ্যাপেক্স বডি এবং কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স দীর্ঘ চার বছর ধরে এই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এর আগে অনশন ধর্মঘট ও সম্পূর্ণ বনধের ডাকও দেওয়া হয়েছিল।

লাদাখে গত তিন বছর ধরে কেন্দ্র সরকারের শাসনের প্রতি অসন্তোষ বাড়ছে। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল ও জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পাশের পর লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। তবে বিধানসভা নেই এবং রাজনৈতিক শূন্যতা লাদাখবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

বিক্ষোভের অন্যতম মুখ পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক। গত দুই সপ্তাহ ধরে তিনি অনশনে ছিলেন। তিনি বিক্ষোভের পর অনশন প্রত্যাহার করে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

লেহ অ্যাপেক্স বডি’র যুব শাখার চেয়ারম্যান থুপস্তান সোয়াং জানান, ‘লাদাখে চারটি মূল দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন চালাচ্ছি। সহিংসতায় কিছু ঘটনা ঘটেছে, এতে নিহত হয়েছেন। আমরা তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলন হবে।’

ভারতের কেন্দ্র সরকার লাদাখের দাবির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। আগামী ৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লেহ অ্যাপেক্স বডি ও কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের মধ্যে পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সূত্র : এনডিটিভি

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ভারত

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর