কাতারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫১
কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের ওপর হামলায় দেশটির এক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় কাতারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের ওপর হামলায় দেশটির এক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় কাতারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। খবর আল জাজিরা’র।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু যৌথভাবে হোয়াইট হাউস থেকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানির সঙ্গে ফোনালাপে এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে, ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাতারে হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে এক কাতারি সেনা নিহত হয়েছেন। তিনি কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের জন্য অনুতাপ প্রকাশ করেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা আর হবে না।’
গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহায় ইসরায়েলের ওই হামলায় পাঁচজন হামাস সদস্য ও এক কাতারি সেনা নিহত হন। লক্ষ্যবস্তু ছিল হামাসের শীর্ষ নেতারা, যারা যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় যুক্ত ছিলেন। তবে তারা প্রাণে রক্ষা পান। এটি ছিল কাতারের মাটিতে ইসরায়েলের প্রথম হামলা।
কাতার দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি আল উদেইদ অবস্থিত।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হামলাটিকে কাতারের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা জানান। হামলার কয়েক দিন পর দোহায় প্রায় ৬০টি মুসলিম দেশের প্রতিনিধি একত্রিত হয়ে কাতারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাকে তারা স্বাগত জানায় এবং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ করেছে। কাতারের সার্বভৌমত্বে আর আঘাত হানা হবে না— এই নিশ্চয়তা তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুলতান বারাকাত বলেন, ‘প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা আর হবে না—এই নিশ্চয়তা ছাড়া কাতার মধ্যস্থতা চালিয়ে যেতে পারবে না। তাই এই পদক্ষেপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
এমবি

