গাজা
দুপুরে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর সন্ধ্যায় ফের ইসরায়েলি হামলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৮
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রক্তপাত থামছেই না। দুপুরে যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকরের ঘোষণা দিয়েও বুধবার সন্ধ্যায় নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষ এ হামলায় দুইজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতের ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১০৪ জন ফিলিস্তিনি। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় চালানো সর্বশেষ হামলায় অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-শিফা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা এমন এক স্থানে হামলা চালিয়েছে যেখানে অস্ত্র মজুত ছিল এবং সেগুলো তাদের সেনাদের জন্য ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ তৈরি করেছিল।
এ হামলার ফলে গাজার নাজুক যুদ্ধবিরতি আবারও অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। এর আগে মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিশোধমূলক হামলার নির্দেশ দেন। ওই হামলায় ১০৪ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, সর্বশেষ হামলার পরও অস্ত্রবিরতি ‘ঝুঁকির মুখে নেই’। মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার হামলায় হতাশা প্রকাশ করলেও জানায়, তারা যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে এখনো আশাবাদী।
বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক বলেন, গুতেরেস গাজার বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার তুর্ক বলেন, এত বিপুল প্রাণহানি ‘ভয়াবহ’ এবং শান্তি যেন ‘হাতছাড়া না হয়’, সে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও।
ইসরায়েল জানায়, তারা হামাসের সিনিয়র যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং ‘ডজনখানেক’ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এরপর বুধবার দুপুরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখার ঘোষণা দেওয়া হলেও একইদিন সন্ধ্যায় আবারও হামলা চালানো হয়।
হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাফাহে এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের যোদ্ধাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তারা অস্ত্রবিরতি মানার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। তবে সাম্প্রতিক হামলার কারণে এক মৃত ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
হামাসের দাবি, ইসরায়েলের নতুন হামলা চলতে থাকলে বন্দিদের মরদেহ উদ্ধারে বাধা সৃষ্টি হবে।
এমবি

