৫ ফিলিস্তিনি বন্দি ও ৪৫ মরদেহ ফেরত দিল ইসরায়েল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৩
গাজা সিটিতে এক ফিলিস্তিনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন। ২ নভেম্বর, ২০২৫। ছবি : মাহমুদ ইসা/রয়টার্স
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন ‘হামাস’-এর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। একই সঙ্গে ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহও হস্তান্তর করেছে তারা।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা’র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় মুক্ত হওয়া ওই পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দিকে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে ৪৫ জন ফিলিস্তিনির দেহাবশেষ গ্রহণ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তি পাওয়া বন্দিদের দেখতে ও নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে ভিড় করেন অসংখ্য আত্মীয়স্বজন। কেউ কেউ আনন্দে মুক্তিপ্রাপ্তদের জড়িয়ে ধরেন। আবার কেউ উদ্বেগভরে নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করছেন।
হাসপাতালের বাহিরে অবস্থান করা আল জাজিরার প্রতিবেদক হিন্দ খোদারি জানান, যুদ্ধবিরতির পর এটাই প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বাহিনী অজ্ঞাত পরিচয়ের ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ইসরায়েলে বন্দি রয়েছেন। যাদের অনেককে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক রাখা হয়েছে। অধিকার সংগঠনগুলো এসব আটককে ‘নির্বিচারে বন্দিত্ব’ হিসেবে উল্লেখ করছে।
এর আগে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে ইসরায়েল ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ফেরত পাওয়া মরদেহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭০ জনে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৭৮টি মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। অনুমোদিত চিকিৎসা প্রোটোকল অনুযায়ী বাকি মরদেহগুলোর পরীক্ষার কাজ চলছে। এরপর সেগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এমবি

