নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৮
ইতিহাস গড়লেন জোহরান মামদানি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) গভীর রাতে ভোট গণনা শেষে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস তার বিজয়ের খবর নিশ্চিত করে।
৮৪ লাখেরও বেশি মানুষের এ ব্যস্ত নগরী এবার পেল এক নতুন নেতৃত্ব। অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে প্রভাবশালী এ শহরে মামদানীর জয়কে দেখা হচ্ছে এক ঐতিহাসিক মোড় হিসেবে।
জোহরান মামদানি নিজেকে পরিচয় দেন ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে। তবে নিউইয়র্কবাসী তাকে বেছে নিয়েছেন ধর্ম বা জাতিগত পরিচয়ের জন্য নয়, বরং তার মূল প্রতিশ্রুতি—‘সাশ্রয়ী জীবনযাপন’—এর জন্য।
এ নির্বাচনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের দিন কুয়োমো বলেন, ‘ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে এখন এক ধরনের গৃহযুদ্ধ চলছে। সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার তরুণ প্রজন্ম মাঝারি অবস্থানের ডেমোক্র্যাটদের চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে।’
ব্রঙ্কসের বাসিন্দা জোশুয়া উইলসন বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে রাজনীতি আরও বিভাজিত হয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের নেতাদের অনেকে ভয় পায়, কিন্তু মামদানি এই সময়টায় নতুন কণ্ঠ হিসেবে উঠে এসেছেন।’
ব্রঙ্কসের জোশুয়া উইলসন বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সির পর থেকে রাজনীতি অনেক বেশি তীব্র হয়েছে। নতুন তরুণদের উঠে আসা অনেকেই ভয় পাচ্ছে। কিন্তু মামদানি এ পরিস্থিতিতে এক নতুন কণ্ঠ।
ভোটের শেষ পর্যায়ে ট্রাম্প কুয়োমোকে সমর্থন দিলেও তা উল্টো ফল দেয়। বরং কুয়োমোর অনেক পুরোনো সমর্থকই এবার মামদানীর পক্ষে ভোট দেন।
মামদানীর নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল বিনামূল্যে গণপরিবহন, সার্বজনীন শিশু যত্ন ও ভাড়ার সীমা নির্ধারণের প্রতিশ্রুতি। তিনি জানিয়েছেন, বড় কর্পোরেশন ও ধনীদের ওপর কর বাড়িয়ে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন।
এমবি

