বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার সেনাপ্রধানসহ ৫ শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৭
লিবিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল আল-হাদ্দাদ। ছবি : সংগৃহীত
তুরস্ক থেকে লিবিয়া ফেরার পথে আঙ্কারার কাছে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল আল-হাদ্দাদসহ একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ দবেইবা এবং তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, এই দুর্ঘটনায় সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদের পাশাপাশি দেশটির স্থলবাহিনীর চিফ অব স্টাফ, সামরিক শিল্প কর্তৃপক্ষের প্রধান, সেনাপ্রধানের একজন উপদেষ্টা এবং সামরিক মিডিয়া অফিসের একজন আলোকচিত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।
লিবিয়া সরকার একে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বর্ণনা করেছে।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানিয়েছেন, লিবিয়ার এই প্রতিনিধিদলকে বহনকারী ‘ফ্যালকন–৫০’ মডেলের একটি প্রাইভেট জেট আঙ্কারার এসেনবোবা বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় রাত ৮টা ১০ মিনিটে ত্রিপোলির উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের মাত্র ৪২ মিনিট পর অর্থাৎ রাত ৮টা ৫২ মিনিটে বিমানটির সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরবর্তীতে আঙ্কারার দক্ষিণে হায়মানা জেলার কাছে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিধ্বস্ত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বিমানটি জরুরি অবতরণের সংকেত পাঠিয়েছিল, কিন্তু এরপর আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ দবেইবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘লিবিয়া এমন সব মানুষকে হারাল যারা নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দেশের সেবা করেছেন।’
দুর্ঘটনার সময় আঙ্কারার আকাশসীমায় বিমানটির সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এসেনবোবা বিমানবন্দর থেকে একাধিক ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তুরস্ক সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এমএইচএস

