৫ বছর পর মিয়ানমারে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৫
প্রায় পাঁচ বছর পর মিয়ানমারে পার্লামেন্ট নির্বাচন শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন ধাপে চলবে ভোটগ্রহণ।
মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশনের বরাতে এএফপি জানিয়েছে, প্রথম ধাপে রোববার রাজধানী নেইপিদো, বাণিজ্যিক রাজধানী ও বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়সহ জান্তানিয়ন্ত্রিত কয়েকটি শহর ও গ্রামাঞ্চলে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৬টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। জাতীয় পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক আইনসভা— উভয়ের নির্বাচন একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তবে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ও কয়েকটি প্রদেশে ভোটগ্রহণ হচ্ছে না। এএফপি জানায়, সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন এলাকা এবং অন্তত পাঁচটি প্রদেশে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
মিয়ানমারে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২০ সালের নভেম্বরে। ওই নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় অর্জন করে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং ওই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন।
অভ্যুত্থানের পরপরই সু চিসহ এনএলডির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, এমপি-মন্ত্রিসহ হাজারো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা এখনও কারাগারে রয়েছেন। সু চির বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে; অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড হতে পারে। ২০২৩ সালে জান্তাশাসিত নির্বাচন কমিশন এনএলডিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
ফলে এবারের নির্বাচনে এনএলডি অংশ নিচ্ছে না। একই সঙ্গে ২০২০ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দলও নির্বাচন বর্জন করেছে। বর্তমান নির্বাচনী মাঠে সামরিক বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিই সবচেয়ে বড় দল হিসেবে রয়েছে। ভোট শেষে তারাই সরকার গঠন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এমবি

