
বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৩৪
-680897ed94125.jpg)
দীর্ঘ দুই বছর পেরিয়ে গেলেও বান্দরবানে জমি অধিগ্রহণের ধীরগতির কারণে অনিশ্চয়তায় পড়েছে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প। অথচ এই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হলে পাহাড়ি-বাঙালি শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মমুখী শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় দেশের ২৩টি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে ২০২৩ সালে বান্দরবান সদরে পাঁচ একর জমিতে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, জমি অধিগ্রহণের জন্য সম্ভাব্য এলাকা পরিদর্শন করে একটি সার্ভেয়ার টিম। সবশেষে ২০২৪ সালের নভেম্বরে বান্দরবান সদর উপজেলার সাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করে ভূমি অধিগ্রহণ যাচাই–বাছাই কমিটি। তবে এরপর চার মাস পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ঘটানো হচ্ছে। ফিরোজ আলম ও সাব্বির আহমেদ অভিযোগ করেন, ষড়যন্ত্র করে এই প্রকল্প বন্ধের অপচেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, ‘মাঝেরপাড়ায় চা বোর্ডের পাশের জায়গাটি শতভাগ শিক্ষার উপযোগী। আশপাশে পিটিআই, ম্যাটস, রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’
প্রস্তাবিত জমির মালিক মো. ইদ্রিছ চৌধুরী ও তানজিনা আফরিন জানান, ‘সুয়ালক মৌজার খতিয়ান নং-১৭৫, হোল্ডিং নং-৫১০ ও ৫১৩ এর আওতায় ৫ একর জমি আমাদের নামে রেকর্ডভুক্ত। ভূমি অধিগ্রহণ কমিটি পরিদর্শন করে জমিটি নির্বাচন করেছে। আমরা সরকারকে জমি দিতে প্রস্তুত।’
তাঁদের মতে, প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হলে কারিগরি শিক্ষায় সুযোগ পাবে পাহাড়ের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর সন্তানরা। তৈরি হবে কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার।
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সুয়ালকের দুটি স্থানের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।’
সোহেল কান্তি নাথ/এমএইচএস
সম্পর্কিত
পঠিত
মন্তব্য করুন