হাদিসের শিক্ষা
কারী এবং কোরআনের জ্ঞানী ব্যক্তি ইমামতির বেশি যোগ্য

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:১৩

আবু বাকর ইবনু আবু শায়বাহ ও আবু সাঈদ আল আশাজ্জ (রহঃ) আবু মাসউদ আল আনসারী (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন আমাদেরকে বললেন, যে সর্বাপেক্ষা বেশী কুরআনের পাঠক ও কুরআনী জ্ঞানের অধিকারী সে-ই কওমের (লোকজনের) ইমামাত করবে। সবাই যদি কুরআনের জ্ঞানের সমপর্যায়ের হয় সেক্ষেত্রে যে ব্যক্তি সুন্নাত সম্পর্কে অধিক পরিজ্ঞাত হবে সে-ই ইমামাত করবে। সুন্নাহর জ্ঞানেরও সবাই সমান হলে হিজরাতে যে অগ্রগামী সে ইমামাত করবে। কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির নিজস্ব প্রভাবাধীন এলাকায় ইমামাত করবে না কিংবা তার অনুমতি ছাড়া তার বাড়ীতে তার বিছানায় বসবে না। বর্ণনাকারী আশাজ্জ তার বর্ণনায় ইসলাম শব্দের স্থানে বয়স শব্দ উল্লেখ করেছেন। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৪১৮)
মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) আবু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বললেন, আল্লাহর কিতাব কুরআন মাজীদের জ্ঞান যা সবচেয়ে বেশী এবং যে কুরআন তিলাওয়াতও সুন্দরভাবে করতে পারে সে-ই সলাতের জামা'আতে ইমামাত করবে। সুন্দর কিরআতের ব্যাপারে সবাই যদি সমকক্ষ হয় তাহলে তাদের মধ্যে যে হিজরাতে অগ্রগামী সে ইমামাত করবে। হিজরাতের ব্যাপারেও সবাই যদি সমকক্ষ হয় তাহলে তাদের মধ্যে যে বয়সে প্রবীণ সেই ইমামাত করবে। কোন ব্যক্তি যেন কারো নিজের বাড়ীতে (বাড়ীর কর্তাকে বাদ দিয়ে) কিংবা কারো ক্ষমতাসীন এলাকায় নিজে ইমামাত না করে। আর কেউ যেন কারো বাড়ীতে গিয়ে অনুমতি ছাড়া তার বিছানায় না বসে। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৪২০)
শিক্ষা : যে ব্যক্তি সহিহ শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত করতে পারে এবং কোরআনের জ্ঞান তথা মাসলা মাসায়িল সম্পর্কে বেশি জানে সেই ইমামতির সবচেয়ে বেশি যোগ্য।