হাদিসের শিক্ষা
প্রতি রাতের বিশেষ সময়ে আল্লাহ দোয়া কবুল করেন
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০৭
উসমান ইবনু আবু শায়বাহ (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ সারা রাতের মধ্যে এমন একটি বিশেষ সময় আছে যে সময়ে কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কোনো কল্যাণ প্রার্থনা করলে তিনি তাকে তা দান করেন। আর ঐ বিশেষ সময়টি প্রত্যেক রাতেই থাকে। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৬৫৫)
হাজ্জাজ ইবনুশ শাইর (রহঃ) ..... ইবনু মারজানাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু হুরাররাহ (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রাতের অর্ধেকের সময় অথবা শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে মহান আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করে বলতে থাকেনঃ কে আছে আহবানকারী? (আহবান কর) আমি তার আহবানে সাড়া দান করব। কে আছে প্রার্থনাকারী? (প্রার্থনা কর) আমি দান করব। এরপর আল্লাহ তা’আলা বলতে থাকেনঃ এমন সত্তাকে কে কর্জ* দিবে যিনি কখনো ফকির বা দরিদ্র হবেন না বা জুলুম করতে পারেন না?” ইমাম মুসলিম বলেছেনঃ ইবনু মারজানাহ হলেন সাঈদ ইবনু আবদুল্লাহ। মারজানাহ্ তার মায়ের নাম। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৬৬০)
শিক্ষা : মহান রাব্বুল আলামিন হলেন দয়ার সাগর। তাঁর দয়া রহমতের কোনো সীমা নেই। আল্লাহ মানুষকে ক্ষমা করতে ভালোবাসের। দিতে পছন্দ করেন। সহিহ মুসলিমের শরহ নাযায়ীতে উল্লেখ রয়েছে- কর্জ বলতে সদাকাহ, সলাত, সওম, যিকর এবং আল্লাহ তাআলার অন্যান্য আনুগত্যমূলক কাজসমূহ বুঝানো হয়েছে। এ সবের নাম মহান আল্লাহ কর্জ বলে অভিহিত করেছেন, আপন বান্দাদের প্রতি স্নেহ প্রকাশার্থে এবং উৎসাহ দানের জন্য।
যেন তারা আনুগত্যমূলক কাজসমূহ চালিয়ে যায়। কেননা প্রীতি ও প্রেমের সম্পর্ক থাকলেই কর্জ দান করা হয়। এক্ষেত্রে বান্দা নিশ্চিতরূপেই নিজ প্রদেয় কর্জ ফিরে পাবে বিধায় যেন সন্তুষ্টিচিত্তে আমাল চালিয়ে যায়।

