হাদিসের শিক্ষা
রাতের নামাজে নবীজি (সা.) দীর্ঘ কেরাত পড়তেন
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:১৮
হুযায়ফাহ (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তাহাজ্জুদের সলাত আদায় করলাম। তিনি সূরাহ আল বাকারাহ পড়তে শুরু করলে আমি ভাবলাম তিনি হয়ত একশ আয়াত পড়ে রুকূ করবেন। কিন্তু এরপরেও তিনি পড়ে চললেন। তখন আমি চিন্তা করলাম। তিনি এর (সূরাহ আল বাকরাহ) দ্বারা পুরো দু রাকাআত পড়ে সালাম ফিরাবেন। কিন্তু তিনি এরপরেও পড়তে থাকলে আমি ভাবলাম সূরাটি শেষ করে তিনি রুকূ করবেন। তিনি থেমে থেমে ধীরে ধীরে পড়ছিলেন এবং তাসবীর আয়াত আসলে তাসবীহ পড়ছিলেন আর কিছু চাওয়ার আয়াত আসলে চাইলেন। যখন আশ্রয় প্রার্থনা করার কোন আয়াত পড়ছিলেন তখন আশ্রয় প্রার্থনা করছিলেন।
অতঃপর তিনি রুকু’ করলেন। রুকু’তে তিনি বলতে থাকলেন, ‘সুবহা-না রব্বিয়াল আযীম’ (আমার মহান প্রভু পবিত্র, আমি তার পবিত্রতা বর্ণনা করছি)। তার রুকু কিয়ামের মতই দীর্ঘ ছিল। এরপর ‘সামিআল্ল-ই লিমান হামিদাহ’ (আল্লাহ শুনে থাকেন যে তার প্রশংসা করে) বললেনঃ এরপর যতক্ষণ সময় রুকু করেছিলেন প্রায় ততক্ষণ সময় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকলেন। এরপর সাজদাহ করলেন। সাজদাতে তিনি বললেন, ‘সুবহা-না রব্বিয়াল আলা-’ (মহান সুউচ্চ সত্তা আমার প্রভু পবিত্র, আমি তার পবিত্রতা বর্ণনা করছি)। তার এ সাজদায়ও প্রায় কিয়ামের সময়ের মতো দীর্ঘায়িত হলো। হাদীসটির বর্ণনাকারী বলেন যে, জারীর বর্ণিত হাদীসে এতটুকু কথা অধিক আছেঃ তিনি (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু থেকে উঠে) বললেন, সামিআল্ল-হু লিমান হামিদাহ, রব্বানা- লাকাল হামদ। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৬৯৯)
শিক্ষা : নবীজি রাতে অধিকাংশ সময় নামাজ পড়তেন। আমাদেরও রাতে নিয়মিত কিছু না কিছু নামাজ পড়ার অভ্যাস করতে হবে।

