আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কিছু কিছু সলাত বাড়ীতে আদায় করবে। (বাড়ীতে কোন সলাত না আদায় করে) বাড়ীকে তোমরা কবর সদৃশ করে রেখো না। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৭০৫)
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন মাসজিদে সলাত আদায় করবে তখন সে যেন বাড়ীতে আদায় করার জন্যও তার সলাতের কিছু অংশ রেখে দেয়। কেননা তার সলাতের কারণে আল্লাহ তাআলা তার বাড়ীতে বারাকাত ও কল্যাণ দান করে থাকেন। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৭০৭)
যায়দ ইবনু সাবিত (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খেজুর পাতা অথবা চাটাই দিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ছোট কামরা তৈরি করে তাতে সলাত আদায় করতে গেলেন। এ দেখে কিছু সংখ্যক লোক এসে তার সাথে সলাত আদায় করলেন। যায়দ ইবনু সাবিত বলেন, অন্য এক রাতেও লোকজন এসে জমা হল। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সে রাতে) দেরী করলেন এবং এমনকি তিনি সে রাতে আসলেন না। তাই লোকজন উচ্চৈঃস্বরে তাকে ডাকাডাকি করল এবং বাড়ীর দরজায় কঙ্কর ছুড়তে শুরু করল।
শিক্ষা : মসজিদ হল জামাতের সাথে ফরজ নামাজ আদায়ের জন্য। আর সুন্নত ও অন্যান্য নফল নামাজ ঘরে আদায় করা উত্তম। আর যে ঘরে নামাজ পড়া হয় আল্লাহ তাতে বরকত ও কল্যাণ দান করেন।

