হাদিসের শিক্ষা
কুরআন মাজীদ সংরক্ষণে যত্নবান হওয়ার নির্দেশ
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩১
ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরআন হিফযকারীর দৃষ্টান্ত হলো পা বাঁধা উট। যদি এর মালিক এটির প্রতি লক্ষ্য রাখে তাহলে ধরে রাখতে পারবে। আর যদি তার বাঁধন খুলে দেয় তাহলে সেটি ছাড়া পেয়ে চলে যাবে। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৭২৪)
যুহারর ইবনু হারব, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ, আবু বকর ইবনু শায়বাহ, ইবনু নুমায়র, ইবনু আবু উমার, কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ, মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক আল মুসাইয়্যাবী (রহ.) সকলে নাফি (রহ.) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে মুসা ইবনু উকবাহ বর্ণিত হাদীসে এতটুকু অধিক বর্ণনা করা হয়েছে যে, ‘কুরআনের হাফিয যদি রাতে ও দিনে কুরআন মাজীদ পড়ে তাহলে তা স্মরণে রাখে, অন্যথায় ভুলে যায়।’ (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৭২৫)
ইবনু নুমায়র এবং ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহ.) [শব্দাবলী তার] শাকীক (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযি.) বলেছেন, এই পবিত্র গ্রন্থের আবার কখনো বলেছেন এ কুরআনের রক্ষণাবেক্ষণ কর। কেননা মানুষের মন থেকে তা এক পা বাঁধা চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও (অধিক বেগে) পলায়নপর। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযি.) আরো বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা কেউ যেন এ কথা না বলে যে, আমি (কুরআন মাজীদের) অমুক অমুক আয়াত ভুলে গিয়েছি। বরং তার থেকে আয়াতগুলো বিস্মৃত হয়ে গিয়েছে (এরূপ বলা উত্তম)। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৭২৭)
শিক্ষা : শয়তান মানুষের চিরশত্রু। সে সর্বদাই মানুষকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত। কেউ কোরআন হিফজ করলে তার পিছনে শয়তান উঠে পড়ে লেগে যায়। এ জন্য বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা জরুরি।

