হাদিসের শিক্ষা
কোরআন তিলাওয়াত করা ও শিক্ষা দেওয়ার পুরস্কার
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:১১
আবূ হুরায়রা (রাযি,) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ কি চাও যে, যখন বাড়ী ফিরবে তখন বাড়ীতে গিয়ে তিনটি বড় বড় মোটাতাজা গর্ভবতী উটনী দেখতে পাবে? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তোমরা কেউ সলাতে তিনটি আয়াত পড়লে তা তার জন্য তিনটি মোটাতাজা গর্ভবতী উটনীর চেয়ে উত্তম। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৭৫৭)
উক্বাহ ইবনু আমির (রাযি,) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলেন। তখন আমরা সুফফাহ বা মাসজিদের চত্বরে অবস্থান করছিলাম। তিনি বললেন, তোমরা কেউ চাও যে, প্রতিদিন “বুত্বহান” বা আকীকের বাজারে যাবে এবং সেখানে থেকে কোন পাপ বা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা ছাড়াই বড় কুঁজ বা চুঁটবিশিষ্ট দুটি উটনী নিয়ে আসবে? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমরা এরূপ চাই। তিনি বললেন, তাহলে কি তোমরা কেউ মাসজিদে গিয়ে আল্লাহর কিতাবের দুটি আয়াত শিক্ষা দিবে না কিংবা পাঠ করবে না? এটা তার জন্য ঐরূপ দুটি উটনীর চেয়েও উত্তম। এরূপ তিনটি আয়াত তিনটি উটনীর চেয়ে উত্তম এবং চারটি আয়াত চারটি উটনীর চেয়ে উত্তম। আর অনুরূপ সমসংখ্যক উটনীর চেয়ে তত সংখ্যক আয়াত উত্তম। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৭৫৮)
শিক্ষা : কোরআন তিলাওয়াতের অনেক ফজিলত রয়েছে। সকল নফল ইবাদতের মধ্যে কোরআন তিলাওয়াত হল অন্যতম। তাছাড়া নমাজ সহিহ হওয়ার জন্য কোরআন তিলাওয়াত জরুরি। অন্য এক হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, কোরআন তিলাওয়াত করলে প্রতি হরফের বিনিময়ে কমপক্ষে দশটি নেকি পাবে। চাই সে বুঝে পড়ুক বা না বুঝে পড়ুক। আর নিজে কোরআন শিক্ষা করা বা অপরকে কোরআন শিক্ষা দেওয়া অনেক ফজিলতের কাজ। হাদিসে এদেরকে দুনিয়ার সর্বোত্তম মানুষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

