হাদিসের শিক্ষা
যে দুই প্রকার লোকের সাথে ঈর্ষা করা জায়েজ
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৩
আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুটি ব্যাপার ছাড়া ঈর্ষা পোষণ করা যায় না। একটি হলো- এমন ব্যক্তি যাকে মহান আল্লাহ কোরআনের জ্ঞান দান করেছেন। সে তদনুযায়ী রাত-দিন আমাল করে। আরেক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তাআলা অর্থ-সম্পদ দান করেছেন। সে রাত-দিন তা (আল্লাহর পথে) খরচে করে। (এ দুই ব্যক্তির সাথে ঈর্ষা পোষণ করা যায়। অর্থাৎ এদের সাথে আমল ও দানের ব্যাপারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনুকূল ইলম ও মালের আকাক্সক্ষা করা যায়। তবে ঐ ব্যক্তির ইলম বিলুপ্ত হয়ে যাক কিংবা ঐ মালদারের মাল ধ্বংস হয়ে যাক- এরূপ কামনা করা যাবে না)। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৭৭৯)
‘আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুটি ব্যাপার ছাড়া ঈর্ষা পোষণ জায়িয নয়। একটি হলো- যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা এ কিতাবের (কোরআন) জ্ঞান দিয়েছেন এবং সে তদনুযায়ী দিন-রাত আমল করে; এ ক্ষেত্রে ঈর্ষা পোষণ করার অর্থ তার চেয়ে বেশি করার (জ্ঞান আহরণের) চেষ্টা করা। আর অপরটি হলো- যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা অর্থ-সম্পদ দান করেছেন আর সে রাত-দিন তা থেকে সদাকাহ করে (এ ব্যক্তির সাথে এ অর্থে ঈর্ষা পোষণ করা যে, তার চেয়ে বেশি দান করবে)। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৭৮০)
শিক্ষা : মুহাদ্দিসগণ নিম্নরূপে হাদিসটির ব্যাখ্যা করেছেন। হিংসা দু প্রকার। এক প্রকার হলো- কোনো ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ যে নিয়ামত দান করেছেন তার অবসান কামনা করা। আর অপর প্রকার হলো- অবসান কামনা না করে নিজের জন্যও অনুরূপ নিয়ামত কামনা করা। প্রথম প্রকারের হিংসা হারাম। কিন্তু দ্বিতীয় প্রকারের হিংসা জায়েজ।

