জনৈক ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযি.) এর নিকট এসে বলেন, হে আবদুর রহমানের পিতা। নি¤েœাক্ত শব্দটি আপনি কীভাবে পড়েন, ‘আলিফ সহযোগে না ইয়া’ সহযোগে অর্থাৎ অথবা বর্ণনাকারী আবু ওয়াইল (রহ) বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাযি.) বললেন, এ শব্দটি ছাড়া তুমি কি কুরআনের সবটুকু আয়ত্ত করে ফেলেছ? সে বলল, আমি তো মুফাস্সাল (সুরাহসমূহ) এক রাকাআতেই পড়ি। ‘আবদুল্লাহ (রাযি:) বলেন, দ্রুত গতিতে অর্থাৎ কবিতা পড়ার ন্যায় দ্রুত গতিতে? কোনো কোনো লোক কুরআন পড়ে কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করে না। বরং (সুষ্ঠুভাবে পড়লে) তা যখন অন্তরে প্রবেশ করে তখন তা হৃদয়ে বদ্ধমূল হয় এবং উপকারে আসে। সালাতের মধ্যে রুকু-সাজদাহ হলো সর্বাধিক ফজিলতপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা আমি অবশ্যই জানি। তিনি প্রতি রাকাআতে দুটি সুরাহ মিলিয়ে পড়তেন। অতঃপর আবদুল্লাহ (রাযি.) উঠে দাঁড়ান, আলকামাহ্ (রহ.)ও তার পিছনে পিছনে প্রবেশ করেন। অতঃপর তিনি বের হয়ে এসে বলেন, ‘আবদুল্লাহ (রাযি.) এ সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেছেন। জনৈক ব্যক্তি আবদুল্লাহ (রাযি.)-এর নিকট এলো ... (পূর্ববর্তী সানাদের) ওয়াকী (রহ:) বর্ণিত হাদিসের অনুরূপ।
তবে এ বর্ণনায় আছে, ‘আলকামাহ্ (রহ.) তার নিকট প্রবেশের জন্য এলেন। আমরা তাকে বললাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রাকাআতে যে সুরাহ পড়তেন তার দৃষ্টান্ত সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করুন। তিনি তার নিকট প্রবেশ করে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, অতঃপর আমাদের নিকট বের হয়ে এসে বলেন, আবদুল্লাহ (রাযি:) এর কুরআন সংকলনের বিশটি মুফাস্সাল সুরাহ (সুরাহ কাফ থেকে পরবর্তী সুরাহসমূহ)। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ১৭৯৪)
শিক্ষা : দ্রুত নয়, বরং সুন্দর করে ধীরস্থিরতার সাথে নামাজে কিরআত পড়া উচিত।

