আবূ হুরায়রাহ (রাযি.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মায়ের কবর যিয়ারাত করতে গেলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাঁদলেন এবং আশেপাশের সবাইকে কাঁদালেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি আমার প্রভুর নিকট মায়ের জন্য ইস্তিগফারের অনুমতি চাইলাম। কিন্তু আমাকে অনুমতি দেয়া হল না। আমি তার কবর যিয়ারাত করার জন্য অনুমতি চাইলে আমাকে অনুমতি দেয়া হলো। অতএব তোমরা কবর যিয়ারাত কর। কেননা কবর যিয়ারাত তোমাদেরকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ২১৪৯)

আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বাহ, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহ.) [শব্দগুলোর আবূ বাকর ও ইবনু নুমায়র এর] ... ইবনু বুরায়দাহ (রহ.) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বুরায়দাহ ইবনু হুসায়ব ইবনু আবদুল্লাহ (রাযি.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে কবর বিয়ারাত করতে নিষেধ করতাম। (এখন অনুমতি দিচ্ছি) তোমরা কবর যিয়ারাত করতে পার। আমি ইতোপূর্বে তিনদিনের বেশী কুরবানী গোশত রাখার ব্যাপারে তোমাদেরকে নিষেধ করতাম। এখন তোমাদের যতদিন ইচ্ছা রাখতে পার। এছাড়া আমি তোমাদেরকে পানির পাত্রে নাবীয তৈরি করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা যে কোন পানির পাত্রে তা তৈরি করতে পার। তবে নেশার বস্তু (মাদকদ্রব্য) পান করো না। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ২১৫০)

শিক্ষা: ইসলামের প্রাথমিক যুগে কবর জিয়ারতের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরবর্তীতে এটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মাঝেমধ্যেই কবর জিয়ারত করা উচিত। কবর জিয়ারতে মৃত্যুর কথা স্মরণ হয়। আর মৃত্যুর পর আল্লাহর অন্তরে আসলে গোনাহ থেকে সহজেই বেঁচে থাকা সম্ভব হবে। আল্লাহ আমাদের গোনাহমুক্ত জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।