হাদিসের শিক্ষা
মন্দ নাম এবং নাফি’ ইত্যাদি শব্দে নাম রাখা মাকরুহ
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৮
সামুরাহ ইবনু জুনদাব (রাযি:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের গোলামদের চারটি নাম দ্বারা নামকরণ করতে বারণ করেছেন: আফলাহ, রাবাহ, ইয়াসার ও নাফি’। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ৫৪৯২)
সামুরাহ ইবনু জুনদাব (রাযি:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন; তোমার ক্রীতদাসের নাম রাবাহ, ইয়াসার, আফলাহ ও নাফি’ রেখো না। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ৫৪৯৩)
ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, উমাইয়াহ ইবনু বিসতাম, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহ:) মানসূর (রহ:) হতে যুহায়র (রহ:) এর সানাদানুসারে হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু জারীর (রহ:) ও রাওহ্ (রহ:) উল্লিখিত হাদীস যুহায়র (রহ:) বর্ণিত সম্পূর্ণ ঘটনার বর্ণনা সম্বলিত হাদীসের অবিকল। তবে শু’বাহ (রহ:) এর হাদীসে শুধু সন্তানের নাম রাখার কথা বর্ণনা আছে। তিনি ‘চার’ এর কথাটি বর্ণনা করেননি। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ৫৪৯৫)
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযি:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়া’লা, বারাকাহ, আফলাহ, ইয়াসার ও নাফি’ ইত্যাদি এ রকম নাম রাখা বারণ করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। অতঃপর তাকে আমি লক্ষ্য করলাম যে, এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চুপ রইলেন, কিছু বললেন না। তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে উঠিয়ে নেয়া হলো এবং তিনি তা (শক্তভাবে) বারণ করেননি। পরে উমার (রাযি:) তা বারণ করার ইচ্ছা পোষণ করলেন, তারপর তিনিও তা পরিত্যাগ করেন। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ৫৪৯৬)
শিক্ষা : মানুষের জন্মের পর সুন্দর একটা নাম রাখা জরুরি। বিধর্মীদের সাথে মিল রেখে নাম রাখা কাম্য নয়। অর্থবহ ইসলামী রাম রাখা উচিত।

