হাদিসের শিক্ষা
রোগীকে শরিয়ত মোতাবেক ঝাড়ফুঁক করা মুস্তাহাব
ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৪
সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, জিবরাইল (আঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আগমন করে বললেন, হে মুহাম্মাদ। আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি (জিবরাইল) বললেনঃ শাল্লাহের নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি- সে সব জিনিস হতে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়, সব আত্মার খারাবী অথবা হিংসুকের কুদৃষ্টি হতে আল্লাহ আপনাকে মুক্তি দিন, আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়-ফুঁক করছি। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ৫৫৯৩)
আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের কোন মানুষ পীড়িত হলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ডান হাত দ্বারা তাকে মুছে দিতেন, তারপর বলতেন: অর্থ "সমস্যা বিদূরিত করে দিন, হে জনগণের পালনকর্তা। আর সুস্থতা দান করুন, আপনিই সুস্থতা দানকারী। আপনার সুস্থতা ও মুক্তি ছাড়া আর কোন (প্রকৃতপক্ষে নির্ভরযোগ্য) শিফা নেই। এমন নিরাময় করুন, যার পর কোন রোগব্যাধি বাকী না থাকে।"
পরবর্তীতে যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পীড়িত হলেন তখন অসুখে অতি দুর্বল হয়ে পড়লেন, সে সময় আমি তার হাত তুলে ধরলাম যাতে আমিও তেমন করে (মুছে) দিতে পারি তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যেমন করে (মুছে) দিতেন। কিন্তু তিনি আমার হাত থেকে তার হাত টেনে (ছাড়িয়ে) নিলেন। অতঃপর বললেন: হে আল্লাহ আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে মহান সঙ্গীর সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিন। তিনি [আয়িশাহ (রাখি:) বলেন, হঠাৎ আমি দেখলাম যে, তাকে উঠিয়ে নিয়েছেন [ইন্তিকাল করেছেন। (সহিহ মুসলিম হাদিস নং ৫৬০০)
শিক্ষা : রোগীকে ঝাড়ফুক করা মুস্তাহাব। তবে শরিয়ত অনুযায়ী হতে হবে। কোরআন সুন্নাহ মোতাবেক হতে হবে। উল্টাপাল্টা তন্ত্র মন্ত্র বা অর্থহীন কিছু দিয়ে ঝাড়ফুঁক বা তাবিজ-কবজ করা যাবে না। সকল প্রকার শিরিক-কুফর থেকে মুক্ত হতে হবে।

