Logo

চাকরি

চাকরি পেতে প্রয়োজনীয় স্কিলস, ২০২৫ সালে কী শেখা উচিত?

Icon

চাকরি ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১২:৪৫

চাকরি পেতে প্রয়োজনীয় স্কিলস, ২০২৫ সালে কী শেখা উচিত?

প্রতীকী ছবি

প্রতিযোগিতায় ভরপুর এই চাকরির বাজারে একাডেমিক রেজাল্টের সাথে প্রয়োজন কিছু স্কিলের। যা আপনাকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে। কেননা, প্রযুক্তির এই যুগ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে দক্ষ কর্মীর চাহিদাও। তাই নিজের দক্ষতা বাড়ানো এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পড়ালেখার পাশাপাশি শিখে রাখতে পারেন কিছু বাড়তি কাজ।   

কোন কোন স্কিলসে গুরুত্ব দেওয়া উচিত?

বর্তমান যুগ হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিং লার্নিং-এর যুগ। ব্যাক্তিগত জীবনসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্ষমতাও বাড়িয়ে চলেছে এই প্রযুক্তি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলো সমাধান করতেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। ২০২৫ সাল নাগাদ এআই এবং এমএল-এর চাহিদা অভূতপূর্ব উচ্চতায় পৌঁছাবে। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে যদি কেও এই ধরনের স্কিল শিখে রাখে। 

কী শেখা উচিত?

১. অটোমেশন দক্ষতা অর্জন : অটোমেশনে দক্ষতা অর্জন করলে আপনি কর্মক্ষেত্রে সময় এবং খরচ দুটোই সাশ্রয় করতে পারবেন।

২. ডেটা অ্যানালাইসিস এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা : একটি ব্যবসার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বা বাজার বিশ্লেষণে ডেটা অ্যানালাইসিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩. গবেষণা এবং উন্নয়নের সুযোগ : যারা নতুন কিছু আবিষ্কার করতে চান, তাদের জন্য AI এবং ML একটি অসাধারণ ক্ষেত্র।

৪. ক্যারিয়ারের দারুণ সম্ভাবনা : এই প্রযুক্তিগুলিতে অভিজ্ঞতা অর্জন করলে আপনি ডেটা সায়েন্টিস্ট, মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, বা এআই রিসার্চারের মতো মর্যাদাপূর্ণ পেশায় কাজ করার সুযোগ পাবেন।

ক্লাউড কম্পিউটিং :

ক্লাউড কম্পিউটিং হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডেটা স্টোরেজ, প্রসেসিং, এবং সফটওয়্যার অ্যাক্সেসের সুবিধা দেয়।  এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, খরচ কমানো, এবং সময় বাঁচাতে সহায়ক।

কেন ক্লাউড কম্পিউটিং শিখবেন?

১. বড় কোম্পানিগুলোর স্থানান্তর ক্লাউড-ভিত্তিক সিস্টেমে : এই স্কিল শিখলে আপনি বড় কোম্পানিগুলোর আইটি সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

২. রিমোট কাজের সুযোগ বৃদ্ধি  : ক্লাউড প্রযুক্তিতে দক্ষ হলে আপনি রিমোট চাকরির সুযোগ পাবেন এবং স্থানীয় কর্মক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

৩. উচ্চ বেতনের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ :  ক্লাউড প্রযুক্তির শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করার সুযোগ পেলে আপনার ক্যারিয়ার দ্রুত অগ্রসর হতে পারে।

৪. ব্যবসায়িক দক্ষতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা :  এটি ব্যবসার খরচ কমিয়ে এনে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন আজকের দিনে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ব্যবসা, বিনোদন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা—প্রতিটি ক্ষেত্রেই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার বাড়ছে। ফলে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এমন একটি স্কিল যা শিখলে আপনি বর্তমান এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তি জগতে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারবেন।

কী শেখা উচিত?

১. জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এর জন্য অ্যাপ তৈরি : বিশ্বব্যাপী Android এবং iOS সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মোবাইল প্ল্যাটফর্ম। এই দুটি প্ল্যাটফর্মের জন্য অ্যাপ তৈরি শেখা মানে আপনি বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানোর সুযোগ পাবেন।

২. গেম ডেভেলপমেন্টে দক্ষতা অর্জন : গেমিং ইন্ডাস্ট্রি বর্তমানে প্রযুক্তি জগতের অন্যতম বৃহৎ সেক্টর। মোবাইল গেম ডেভেলপমেন্টের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। 

৩. ব্যবসায়িক অ্যাপ তৈরি করে আয় : মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে ব্যবসার জন্য কাস্টম অ্যাপ তৈরি করা সম্ভব। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের কাজ সহজ করতে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করছে। আপনি তাদের জন্য অ্যাপ ডেভেলপ করে আয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারেন।

৪. ফ্রিল্যান্সিং এবং নিজস্ব অ্যাপ তৈরির সুযোগ : মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট একটি চাহিদাসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সিং স্কিল। আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্স মার্কেটে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টগুলোর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। পাশাপাশি, নিজস্ব আইডিয়া থেকে অ্যাপ তৈরি করে আপনি প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরে প্রকাশ করে আয় করতে পারেন।

৫. উদ্ভাবনী সমাধান তৈরি করার সুযোগ:

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট আপনাকে সৃজনশীল হতে এবং নতুন সমাধান তৈরি করার সুযোগ দেয়। আপনি অ্যাপ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের জন্য লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, স্বাস্থ্যসেবার জন্য মেডিকেল অ্যাপ, বা পরিবেশবান্ধব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারেন।

সাইবার নিরাপত্তা 

ডিজিটাল দুনিয়ার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার আক্রমণ এবং অনলাইনে ডেটা চুরির ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যাংকিং থেকে ই-কমার্স, স্বাস্থ্যসেবা থেকে সরকারি সংস্থা—প্রায় সব ক্ষেত্রেই সাইবার নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে চলেছে। এ কারণে সাইবার সিকিউরিটি আজকের দিনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং চাহিদাসম্পন্ন দক্ষতা হয়ে উঠেছে।

কেন গুরুত্বপূর্ণ?

 তথ্য এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে সাইবার হামলা এবং ডেটা চুরি বেড়েছে। তাই সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব বাড়ছে।

কী শেখা উচিত?

সাইবার আক্রমণ শনাক্তকরণ, ডেটা এনক্রিপশন, নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি।

টিএ 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বেসরকারি চাকরি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর