সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে আবেদন জমা পড়েছে সাড়ে ৭ লাখ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যে জানা যায়, পদে মোট আবেদনপত্র এসেছে ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৯টি। বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদ দেখানো হয়েছিল ১০ হাজার ২১৯টি। ফলে প্রতিটি পদে প্রায় ৭৩ জন প্রার্থী প্রতিযোগিতা করবেন।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রাথমিক শিক্ষায় বড় পরিসরে নতুন জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা হতে পারে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের শূন্য পদে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। অন্যান্য বিভাগের শূন্য পদ পরবর্তী ধাপে অন্তর্ভুক্ত হবে।

এর আগে ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিন দিন পর গঠন করা হয় আট সদস্যের কেন্দ্রীয় নিয়োগ কমিটি, যার চেয়ারম্যান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। কমিটিতে মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো ও সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।

প্রাথমিক বিধিমালায় কিছু ত্রুটি থাকার কারণে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দেরি হয়। পরে ২ নভেম্বর সংশোধিত বিধিমালা প্রকাশ করা হয়। নতুন বিধিমালায় ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দের পরিবর্তে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ সংযোজন করা হয়েছে, যার ফলে বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষার্থীরাও অগ্রাধিকার পাবেন।

পদোন্নতি ও সরাসরি নিয়োগের নিয়মেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ হবে পদোন্নতির মাধ্যমে, বাকি ২০ শতাংশ সরাসরি। পদোন্নতির ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কমপক্ষে ১২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা, মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণ প্রয়োজন।

সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক উভয় পদের সরাসরি নিয়োগে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফল গ্রহণযোগ্য নয়। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ বছর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে লিখিত পরীক্ষা সম্ভবত ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে।

এনএ