ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’—এমন বক্তব্যের ভিত্তিতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনার একটি অডিও বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা তদন্তে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে অডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ শুনানি হচ্ছে। অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও শেখ হাসিনা ও শাকিল আলম বুলবুল হাজির হননি বা কোনো ব্যাখ্যা দেননি। এখন ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি দিতে পারে।’

৩০ এপ্রিল : আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন।

১৫ মে : অভিযোগের জবাব দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু কোনো জবাব দেওয়া হয়নি।

২৫ মে : বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ।

৩ জুন : হাজির না হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ১৯ জুন দিন ধার্য।

দুই আসামির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।

এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করতে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরও শেখ হাসিনা ও শাকিল আলম বুলবুল হাজির হননি বা কোনো আইনজীবী নিয়োগ করেননি।

এনএমএম/এমবি