Logo

আইন ও বিচার

শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৪:২৯

শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রোববার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ শুনানি শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আইনি কাঠামোর মধ্যেই সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছি। আগামী প্রজন্মের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘বিগত আমলে গুম-খুনের একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল। এখন সময় এসেছে গণতন্ত্রের স্বার্থে বিচার ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার।’

এই মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আসামি। মামলার তৃতীয় আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষ স্বীকার করে এখন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী (রাজসাক্ষী)।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন করে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি দায়ের হয়। তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ে ১২ মে, এবং ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসিকিউশনের তথ্য অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রটি প্রায় ৮ হাজার ৭০০ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে রয়েছে বিশদ তথ্যসূত্র, প্রমাণাদির তালিকা এবং শহীদদের নামের বিস্তারিত বিবরণ। সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত আছেন ৮১ জন।

আসামিদের পলাতক ঘোষণার পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়। অনুপস্থিত থাকায় গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয়।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। ২০২৪ সালের রাজনৈতিক পালাবদলের পর পুনর্গঠিত এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রথম মামলাটি হয়।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন— একটি তার শাসনামলের গুম-খুনের অভিযোগে, অপরটি ২০১৩ সালের মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত।

জুলাই-অগাস্টের গণআন্দোলন দমনে সেনা-পুলিশ ও দলীয় ক্যাডারদের সহিংস ভূমিকার জন্য আওয়ামী লীগকেও দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনতে আইন সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংগঠন ইতোমধ্যে দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

ডিআর/এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর