অগ্রণী ব্যাংকের এমডি-জিএমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাসস
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৩২

অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড থেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের ঋণ গ্রহণ ও আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও মহাব্যবস্থাপকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আখতার হোসেন।
দুদক জানায়, ‘মেসার্স মিজান ট্রেডার্স’ নামে একটি বেনামী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নূরজাহান গ্রুপের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় প্রায় ৫১ কোটি টাকা ঋণ উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে সুদে-আসলে এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রথমবারের মতো হিসাব খোলার মাত্র কয়েক মাস পরই বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুর হয়। এ ক্ষেত্রে তৎকালীন প্রিন্সিপাল অফিসার, সহকারী মহাব্যবস্থাপক, সার্কেল মহাব্যবস্থাপক থেকে শুরু করে প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোনো আপত্তি না জানিয়ে বরং সুপারিশ করেন। ফলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদও ঋণ অনুমোদন করে।
প্রকৃতপক্ষে মিজান ট্রেডার্স ছিল নূরজাহান গ্রুপের বেনামী প্রতিষ্ঠান। মিজানুর রহমান নামের একজন বেতনভোগী কর্মকর্তা এর মালিকানা দেখালেও হিসাব পরিচালনার অনুমোদন দেন জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ।
আসামিরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ আব্দুল হামিদ, আছাদগঞ্জ শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও মহাব্যবস্থাপক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ঢাকা সার্কেল-২) মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক তাজরীনা ফেরদৌসী ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. মোফাজ্জল হোসেন।
এছাড়া মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান, জাসমীর ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের এমডি জহির আহমেদ এবং পরিচালক টিপু সুলতান ও ফরহাদ মনোয়ারকে আসামি করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
এমবি