Logo

আইন ও বিচার

শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিচারকার্য শুরু

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:২৮

শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিচারকার্য শুরু

ছবি : সংগৃহীত

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকার্য শুরু করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) আসামিদের অনুপস্থিতিতেই এই বিচারকার্য শুরু হবে বলে ঢাকার অতি. চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১৮ এ আদেশ দেন।

এর আগে মাত্র পাঁচ মাসেরও কম সময়ে মামলাটির তদন্ত সম্পন্ন করে গত ১৪ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষিত ৩টি অগ্রাধিকার এজেন্ডা—সংস্কার, নির্বাচন ও বিচার—এর অংশ হিসেবে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে সিআইডি পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। 

তিনি বলেন, ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সিআর (রমনা) মামলা নং ২২২/২০২৫ দায়ের করা হয়। মামলাটি দণ্ডবিধির ১২১, ১২১(ক) ও ১২৪(ক) ধারায় রুজু করা হয়। এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জন নামীয় এবং আরও বহু অজ্ঞাতনামা আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়।

তদন্ত চলাকালে সিআইডি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সার্ভার ও যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্য সংগ্রহ করে ফরেনসিক বিশ্লেষণ সম্পন্ন করে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে স্বল্প সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করে।

‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর বৈঠক থেকেই ষড়যন্ত্রের সূত্র

সিআইডি সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জুম (Zoom) মিটিংয়ের মাধ্যমে দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত বেশ কিছু ব্যক্তি রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করে।

গোয়েন্দা তথ্য, ডিজিটাল উপাত্ত ও ভয়েস রেকর্ড বিশ্লেষণ করে সিআইডি দেখতে পায়, সভায় বর্তমান সরকার উৎখাত, গৃহযুদ্ধ সৃষ্টির পরিকল্পনা এবং পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়। 

এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সদরদপ্তর বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে এবং অনুমতি প্রাপ্তির পর ৪ মার্চ ২০২৫ তারিখে সিআইডিকে মামলার দায়ের ও তদন্তের ক্ষমতা প্রদান করা হয়।

আসামিদের অবস্থা ও আদালতের আদেশ

তদন্তে সিআইডি দেখতে পায়, পলাতক শেখ হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বি আলমসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই রাষ্ট্রদ্রোহ ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন।

মামলার তদন্তকালে সিআইডি সারাদেশের বিভিন্ন কারাগারে থাকা ৯১ জন আসামিকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। বাকি ১৯৫ জন পলাতক রয়েছেন।

মঙ্গলবার মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। আদালতে অধিকাংশ আসামি অনুপস্থিত থাকায় বিচারক জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য চালানোর নির্দেশ দেন।

সিআইডির ভূমিকা

সিআইডি বলছে, ‘এই মামলার দ্রুত তদন্ত ও প্রতিবেদন দাখিলের মাধ্যমে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম এজেন্ডা ‘বিচার’ সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

এনএমএম/এএ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর