রাস্তায় জোরপূর্বক কারো দাড়ি-চুল কাটা বেআইনি
৩ মাস কারাদণ্ড

আইন ও আদালত ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৩
-68f718b989cd1.jpg)
রাস্তায় বা অন্য কোথাও জোরপূর্বক কারো দাড়ি-চুল কাটা বেআইনি। এটি “আসাল্ট/ক্রিমিনাল ফোর্স” (অর্থাৎ শারীরিক জোরজবরদস্তি) হিসেবে ধরা পড়ে এবং ফৌজদারি দায় হতে পারে। আইনগতভাবে কাউকে সম্মতি ছাড়া দাড়ি বা চুল কাটা আসলে ‘আসাল্ট’ বা ‘ক্রিমিনাল ফোর্স’- এমন কাজ হিসেবে গণ্য, এবং তা অপরাধ। আইনি বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার সংগঠকরা জোরপূর্বক হেয় করা/কাটার ঘটনাকে মানবিক ও ফৌজদারি অপরাধ বলে নিন্দা করেছে।
বাংলাদেশি দণ্ডবিধির ৩৫১ ও ৩৫২ ধারায় Assault/Criminal Force ও তার শাস্তি সংক্রান্ত বিধান আছে; সামগ্রিকভাবে, সম্মতি ছাড়া কারো উপর শারীরিক বল প্রয়োগ করলে দণ্ডঅন্তর্ভুক্ত সাজা ৩ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে, নির্দিষ্ট বিচারিক প্রয়োগ অনুযায়ী।
ন্যায়িক পাল্টা (civil remedz) ব্যক্তি ক্ষতি জানতে চাইলেই দেওয়ানি মোকাদ্দমা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া যায়; এছাড়া বাদী পুলিশে অভিযোগ কিংবা জিডি করতে পারেন। আইনি গ্রন্থ ও বিশ্লেষণে এ রকম অননুমোদিত কাটা-ছেঁড়া-ইনজুরি হলে ফৌজদারি ও দেওয়ানি উভয় উপায়ে চাপানো যেতে পারে বলে ব্যাখ্যা রয়েছে।
আপনি যদি এমন কোনো ঘটনা দেখেন বা ভুক্তভোগী হন, করণীয় : ঘটনাস্থল ও সময়ের ভিডিও/ফটো, প্রত্যক্ষদর্শীর নাম/মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করুন। নিকটস্থ থানায় গিয়ে জিডি করুন; জিডি না নিলে লিখিতভাবে অভিযোগ দিন। চাইলে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা বা আইনজীবীর সাহায্য নিন। তারা প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেবেন।
প্রিয় পাঠক এ রকম ঘটনায় আপনার কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে, লিখতে পারেন বাংলাদেশের খবরের বিশেষ পাতা ‘আইন ও অধিকার’এ।
বিকেপি/এমবি