এবার মিরপুর থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার সেই প্রতারক সিকদার লিটন
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:১৬
ছবি : বাংলাদেশের খবর
রাজধানীর মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক এমপি মঞ্জুর হোসেন বুলবুলের এপিএস সিকদার লিটনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার একটি আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার ১টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন সিকদার লিটন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ বৈষম্যবিরোধী একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। ওই মামলায় এজাহারনামীয় ৯২ নম্বর আসামি সিকদার লিটন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট সকালে মিরপুর প্রধান সড়ক থানার সামনে (সেকশন-২, ওয়ার্ড-৭) এজাহারনামীয় ১১৩ জনসহ অজ্ঞাত ২০০/৩০০ লোক জড়ো হয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং জখম ও ভয়ভীতি দেখায়। এসময় তিনি গুরুত্বর আহত হন। হামলার ঘটনায় জড়িতদের আর্থিকভাবে সহায়তা এবং পরিকল্পনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা সিকদার লিটন।
এদিকে চাঁদাবাজির মামলায় গত ২৮ অক্টোবর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ফরিদপুর শহর থেকে লিটনকে গ্রেপ্তার করে।
সিকদার লিটন ফরিদপুর-১ আসনের (বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা) সাবেক এমপির এপিএস ছিলো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন এমপির ছত্রছায়ায় নানা অপকর্মে লিটন জড়িত ছিলো বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এছাড়া ঢাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে হত্যা এবং হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর আলফাডাঙ্গায় বিস্ফোরক ও নাশকতা মামলার এজাহারনামীয় আসামি সিকদার লিটন। তাছাড়া দুদকে মামলার আসামিও তিনি।
অন্যদিকে বুলবুলের পিএস থাকা অবস্থায় স্থানীয়দের নানাভাবে হয়রানী করেছেন সিকদার লিটন। বিশেষ করে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, মিথ্যা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করানো, ব্যবসার নামে অগ্রিম টাকা নেওয়াসহ নানা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
পুলিশের সূত্র বলছে, সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে প্রায় দুইডজন মামলা রয়েছে।
গতবছরের ৫ আগস্ট কেরাণীগঞ্জ কারাগারে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান জাবেদ নামে এই ব্যক্তি। এই ঘটনার নিজেকে জাবেদের খালাতো ভাই দাবি করে আদালতে মামলার আবেদন করে সিকদার লিটন। যেখানে বিএনপি-জামায়াত ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীকে আসামি করা হয়। ওই মামলার ভয় দেখিয়ে গত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে ২২ লাখ টাকা লেনদেন হয়। পরে ভুক্তভোগী জাবেদের পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সিকদার লিটনকে ভাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আবারও প্রতারণা শুরু করে।
এইচকে/এএ

