Logo

আইন ও বিচার

আদালতের প্রসেস সার্ভারদের সুদমুক্ত মোটরসাইকেল ক্রয় ঋণ সুবিধা জরুরি

Icon

ইফতি হাসান ইমরান

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৪

আদালতের প্রসেস সার্ভারদের সুদমুক্ত মোটরসাইকেল ক্রয় ঋণ সুবিধা জরুরি

আদালতের প্রসেস সার্ভার বা জারীকারকদের জন্য মোটর বাইক ক্রয় করার জন্য সুদমুক্ত ঋণ সুবিধা এখন সময়ের দাবি। জারীকারকদের আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে মামলার পক্ষদের প্রতি সমন বা নোটিশ জারী করার জন্য পুরো জেলায় ভ্রমণ করতে হয়। অথচ নির্মম বাস্তবতা হলো তারা এই কাজের জন্য কোনো টিএ/ডিএ পান না। এমনকি তাদের জন্য কোনোরূপ পরিবহণ সুবিধা নেই।

একজন জারীকারক যে বেতন পান তা পুরো মাসের তার জারী কার্যক্রমে টিএ/ডিএ বাবদ খরচ হয়ে যাওয়ার কথা। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে পক্ষদের থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণে বাধ্য হন, আবার কেউ সরেজমিনে না গিয়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় জারী দেখাতে বাধ্য হন, কেউ আবার বাধ্য হয়ে জারী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন।

এতে করে ওই জারীকারক সংশ্লিষ্ট আদালতের শোকজসহ বিভাগীয় ব্যবস্থার সম্মুখীন হন। অথচ ঐ জারীকারকদের নিজেদের সদিচ্ছা থাকা স্বত্বেও রাষ্ট্রের একটি অপরিহার্য লজিস্টিক বা ভাতা সুবিধা প্রদান না করার কারণে এধরণের অমানবিক ও অযৌক্তিক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

জারীকারকদের জেলা সদর থেকে জেলার একেবারে দুর্গম গ্রামটিতেও প্রসেস জারী করতে হয়। আদালতের ৯০ শতাংশ প্রসেস জারী করতে হয় ১০ থেকে ৮০ কিলোমিটার এমনকি জেলা ভেদে ক্ষেত্র বিশেষে ১২০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত।

একজন জারীকারক প্রসেস জারী না করার কারণে যদি শোকজ বা বিভাগীয় ব্যবস্থার সম্মুখীন হন এবং তিনি যদি জবাবে বলেন “আমার যাতায়াত ভাড়া ছিলো না” তবে তার বিরুদ্ধে র্ষ্ট্রা ব্যবস্থা নিবে কিভাবে? কোনো মানবিক দিক থেকেই তা সম্ভব হবে না। প্রতি উত্তরের কোনো ভাষাই নেই এখানে।

ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি পুলিশের এসআই/এএসআইদের সুদমুক্ত বাইক ক্রয় সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের এই সুবিধা প্রদানের উদারতা রয়েছে মনে করি। কাজেই অবিলম্বে আদালতের সকল জারীকারকদের মোটরসাইকেল ক্রয়ে সুদমুক্ত ঋণ সুবিধা দিয়ে তাদেরকে অমানবিক কর্মপরিবেশ থেকে মুক্তি দেয়া হোক।

লেখক : সহকারী মহাসচিব, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

বিকেপি/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

আইন ও আদালত

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর