আবু সাঈদ হত্যা মামলা : ফের পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:১৬
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ফের পেছানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন দিন হিসেবে আগামী ১০ নভেম্বর নির্ধারণ করেছে।
এদিন বেলা সোয়া ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ দেন। এ সময় প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সহিদুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
এ প্রসঙ্গে কনস্টেবল সুজনের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, সাক্ষী না আসার অর্থ হলো মামলায় ‘রিলাকট্যান্স অব দ্য প্রসিকিউশন’, অর্থাৎ যাদের সাক্ষী করা হয়েছে, তাদের যথাসময়ে উপস্থিত করার দায়িত্ব প্রসিকিউশনের। কিন্তু এটি প্রসিকিউশনের ব্যর্থতা বলে আমি মনে করি।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবরও সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থ হন প্রসিকিউশন। তখন প্রসিকিউটর মঈনুল করিম ট্রাইব্যুনালে বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে সাক্ষী উপস্থিত হতে পারেননি। আর অন্য প্রসিকিউটররা ট্রাইব্যুনাল-১-এ অন্য মামলায় ব্যস্ত রয়েছেন।’
গত ৬ অক্টোবর নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে দুই পুলিশ কর্মকর্তা— এসআই রফিক ও এসআই রায়হানুল রাজ দুলাল— জবানবন্দি দেন। তারা দুজনই জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করেন। পরে তাদের জেরা করেন পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে চার স্টেট ডিফেন্সসহ গ্রেপ্তার আসামিদের আইনজীবীরা।
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ আসামি ৩০ জন। এর মধ্যে ২৪ জন পলাতক, ছয়জন কারাগারে। ২৭ আগস্ট মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। মোট সাক্ষী নির্ধারিত আছে ৬২ জন।
এমবি

