বাগেরহাটের আসন নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত অবৈধ, ৪টি আসন বহাল
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৩২
বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেটকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে হাইকোর্ট বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
এর আগে গত ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট দাখিল করা হয়। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের বেঞ্চ ওই দিন শুনানি শেষে রুল জারি করেন। রুলে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। রিট পিটিশনারদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন জানিয়েছেন, ‘আদালত আমাদের বক্তব্য শুনেছেন এবং জানতে চেয়েছেন কেন বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল থাকবে না এবং ইসির প্রকাশিত গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। আমরা আশাবাদী, ন্যায়বিচার পাব এবং চারটি আসনই বহাল থাকবে।’
পরে ৪ সেপ্টেম্বর ইসি চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে বাগেরহাটকে তিনটি আসনে ভাগ করে। চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাটের আসনগুলোর বিন্যাস ছিল—
- বাগেরহাট-১ : বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট
- বাগেরহাট-২ : ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা
- বাগেরহাট-৩ : কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা
দীর্ঘদিন ধরে বাগেরহাটে চারটি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। পুরোনো সীমানা অনুযায়ী বাগেরহাট-১ এ চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট; বাগেরহাট-২ তে বাগেরহাট সদর ও কচুয়া; বাগেরহাট-৩ তে রামপাল ও মোংলা; এবং বাগেরহাট-৪ তে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ইসির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন হরতাল, মহাসড়ক অবরোধ এবং সরকারি অফিস ঘেরাওসহ লাগাতার কর্মসূচি পালন করেছে।
এসআইবি/এমএইচএস

