শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে, জানা যাবে আজ
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৮
গ্রাফিক্স : বাংলাদেশের খবর
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজ ১৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করবেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ তারিখ ঘোষণা করেন।
এদিন মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি খণ্ডন শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
গত ২২ অক্টোবর বুধবার বিকেলে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছেন।
টানা তিনদিনে তিনি খালাসের দাবিসহ বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী তার যুক্তিতে রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের জবানবন্দি খণ্ডন করেন।
প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, সুলতান মাহমুদসহ অন্যান্যরা।
গত ১৬ অক্টোবর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম টানা পাঁচদিনের যুক্তিতর্ক শেষে শেখ হাসিনা ও কামালের জন্য চরম দণ্ড (মৃত্যুদণ্ড) চেয়ে আবেদন করেন।
এ মামলায় মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। অভিযোগপত্রের মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮ হাজার ৭৪৭। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণ চার হাজার পাঁচ এবং শহীদদের তালিকা দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার।
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও আসামি হলেও তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন।

