ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ছাত্রের করা মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম এ আদেশ দেন।
প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে এরশাদ হালিমকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ। পরদিন শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মেহেদী হাসান মিলন আদালতে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এরশাদ হালিমের পক্ষে তার আইনজীবী শ্যামল কুমার রায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
তিনি আদালতকে বলেন, ‘এ আসামি কোনোভাবেই মামলার ঘটনায় জড়িত নন। তাকে হয়রানি করতে মামলায় জড়ানো হয়েছে। কার্যত এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি; ঘটলে মেডিকেলের সনদ থাকত।’
আইনজীবী শ্যামল কুমার আরও বলেন, এরশাদ হালিম বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ল্যাবরেটরির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বিভাগের রাজনীতির শিকার। তিনি বয়স্ক একজন মানুষ। জামিনের প্রার্থনা করছি।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদীয় রসায়ন বিভাগে পড়েন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি একটি পরীক্ষাসংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে এরশাদ হালিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরশাদ হালিম সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাকে শেওড়াপাড়ায় বাসায় যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর তিনি যৌন হয়রানির শিকার হন।
মামলায় আরও বলা হয়, পরের দিন ওই ছাত্রকে ফোনে এরশাদ হালিম জানান, তার পরীক্ষাসংক্রান্ত সমস্যার বিষয়ে প্রক্টরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এবং তাকে বিকালের পালায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেবেন। সেদিন ওই শিক্ষক তাকে আবার শেওড়াপাড়ার বাসায় ডাকেন দাবি করে অভিযোগে বলা হয়, তার ‘সমকামী আচরণের’ কারণে তিনি বাসায় যাননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একদল শিক্ষার্থী অভিযোগ জানিয়েছে। ‘আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। আর অভিযোগটি যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এমবি

