Logo

আইন ও বিচার

কোর্ট বন্ধ থাকলে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো কীভাবে চলমান রাখা হয়

Icon

আইন ও আদালত ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১১

কোর্ট বন্ধ থাকলে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো কীভাবে চলমান রাখা হয়

আদালত সাময়িকভাবে বন্ধ হলে (ছুটি, অবকাশ, স্বাস্থ্যসঙ্কট, প্রশাসনিক নির্দেশ ইত্যাদি কারণে) সম্পূর্ণ বিচারব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায় না।

শীর্ষ ন্যায়ব্যবস্থা (সুপ্রিম কোর্ট/হাইকোর্ট) ও স্থানীয় প্রশাসন সাধারণত জরুরি মামলার ত্বরান্বিত নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে ভ্যাকেশন/ইমার্জেন্সি বেঞ্চ গঠন, ডিউটি মেজিস্ট্রেট বা সেশনস জজকে জরুরি আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।

পুলিশ বিচারবিভাগীয় কার্যক্রম (গ্রেপ্তার, রিমান্ড অনুরোধ ইত্যাদি) করার সময়ও নিয়ম অনুযায়ী ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেট/ বেঞ্চের কাছে আবেদন করে থাকে।

আদালত বন্ধ হলে কী ঘটে?:
সুপ্রিম কোর্ট/হাইকোর্ট ছাড়াও দেশের বিচারব্যবস্থা পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয় না। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সাধারণত বিশ্রাম/ভ্যাকেশনকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় “ভ্যাকেশন বেঞ্চ” বা জরুরি বেঞ্চ গঠন করে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে হাইপ্রায়োরিটি বা মানবিক জরুরি অনুরোধ (জরুরি জামিন, চিকিৎসা-সুবিধা, হিউম্যান রাইটস সম্পর্কিত আবেদন ইত্যাদি) নিষ্পত্তি করা যায়। উদাহরণস্বরূপ ২০২৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিলো: 

অতিরিক্ত জরুরি বিষয়গুলোর জন্য হাইকোর্টে বেঞ্চ বা চেম্বার কোর্ট গঠন করা হবে। 

নিম্নআদালত (Sessions / CJM / CMM):
যখন সাধারণ আদালত বন্ধ থাকে, সাধারণ নিয়ম অনুসারে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ ম্যাজিস্ট্রেট ডিউটিতে থাকেন—যারা জরুরি গ্রেপ্তার, রিমান্ড, মামলা সংক্রান্ত অস্থায়ী আদেশ, জরুরি হেফাজত/সিফারিশ ইত্যাদি দেখেন।

সংবাদমাধ্যমে আদালত বন্ধ রাখার ঘোষণা হলেও প্রশাসন জানিয়েছে যে ‘এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট’ অবশ্যই কর্তব্যরত থাকা বাধ্যতামূলক। এতে করে জরুরি অপরাধমূলক রিমান্ড/বিভিন্ন হার্ডশিপ মামলা সাময়িকভাবে আটকে থাকে না।

পুলিশ কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করলে (CrPC ধারা অনুযায়ী) রিমান্ড চাইতে অবশ্যই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উপস্থাপন করতে হয়; যদি সাধারণ কোর্ট বন্ধ থাকে, তখনও ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেট/অথবা ভ্যাকেশন বেঞ্চ এই অনুরোধ বিবেচনা করেন। (CrPC ও প্রাসঙ্গিক বিধান অনুসারে সেশনস জজ/জেলা প্রশাসক পর্যায়ের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থাও জরুরি আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ব্যবস্থা করতে পারেন)। 

ভ্যাকেশন বেঞ্চ গঠন (বিগত বছরে নানা সময়ে):
বিচারপতি প্রশাসন নিয়মিতভাবে ভ্যাকেশন বা সাধারণ ছুটির সময়ে নির্দিষ্ট বেঞ্চ গঠন করেন যাতে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি মামলা (যেমন: মানবিক জরুরি জামিন, গৃহ চিকিৎসা, জেলবন্দি স্বাস্থ্য অনুরোধ ইত্যাদি) চলমান রাখা যায়। 

যে ধরনের মামলা সাধারণত ‘জরুরি’ বিবেচিত হয়?:
(হাইকোর্ট/অ্যাপেলেট/লোকাল বেঞ্চে খোলা থাকে বা বিশেষ বেঞ্চে নেয়া হয়), জরুরি জামিন আবেদন (স্বাস্থ্য/গর্ভাবস্থা ইত্যাদি হুমকির কারণে)। জেলাশ্রয়ের তীব্র স্বাস্থ্য/চিকিৎসা–সংক্রান্ত মামলা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের তাৎক্ষণিক রক্ষা আদেশ।

পুলিশি রিমান্ড অর্জনের প্রসঙ্গ যেখানে দ্রুত বিচারিক নির্দেশ প্রয়োজন।

আদালত বন্ধ থাকলেই মামলা আটক না থাকে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও স্থানীয় বিচারব্যবস্থা জরুরি বিচারব্যবস্থা চালু রাখতে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা রাখে (ভ্যাকেশন বেঞ্চ, ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেট ইত্যাদি)।

তবে তথ্যস্বচ্ছতা বজায় রাখতে আদালত থেকে প্রকাশিত নোটিশ, বেঞ্চের সময়সূচি ও ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেট তথ্য সরবরাহ অপরিহার্য। 

বিকেপি/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

আইন ও আদালত

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর