তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৩
ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
বহুল আলোচিত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা, ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ ঘোষণা
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ বহুল আলোচিত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে ত্রয়োদশ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বেঞ্চের অপর ছয় বিচারপতি হলেন—বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
রায়ে বলা হয়, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার–সম্পর্কিত বিধানাবলি এই রায়ের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত ও সক্রিয় করা হলো।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত বিধানাবলি ভবিষ্যৎ প্রয়োগ যোগ্যতার ভিত্তিতেই কার্যকর হবে বলে রায়ে এসেছে।
কবে এখন যেহেতু সংসদ নেই, তাই আদালত বলেছেন, এ রায় পরবর্তীবার থেকে কার্যকর হবে, এখন নয়।
এর আগে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল ইস্যুতে করা আপিলের রায়ের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়।
১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ কয়েকজন রিট করেন। শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিশেষ বেঞ্চ সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে আপিল করা হলে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ ৪–৩ ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়।
এর পর একই বছরের মধ্যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধান থেকে মুছে দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এর আগে ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আর ১৯৯১ সালের নির্বাচন হয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতার ভিত্তিতে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে, যার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। তিনি তখন প্রধান বিচারপতির পদ ছেড়ে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন।
এমএইচএস

