মেজর সিনহা হত্যা
ওসি প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় প্রকাশ
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৩০
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৬ আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ রায়ের পর ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন আসামিরা।
গত ২ জুন হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও ট্রায়াল কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দণ্ডিতদের আপিল শুনানি শেষে এ রায় দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, সাগর দেব, কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার আদেশও রায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। পাঁচদিন পর ২০২০ সালের ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে মামলা করেন। র্যাব ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় ঘোষণা করে ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল, কনস্টেবল রুবেল ও সাগর দেবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই রায়ে বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাত জনকে খালাস দেওয়া হয়। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে।
এমবি

