রামপুরায় ২৮ হত্যাকাণ্ড
কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে হাজির বিজিবির রেদোয়ান
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর রাফাত বিন আলমকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর রাফাত বিন আলমকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে বাংলাদেশ জেল-প্রিজন ভ্যান লেখা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সবুজ রঙের গাড়িতে করে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের আনা হয়।
এ মামলায় মোট চারজন আসামি। বাকি দুইজন হলেন- ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান। তারা পলাতক রয়েছেন।
সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এ মামলায় আজ পলাতক দুই আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ ও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য হতে পারে বলেও জানা গেছে।
সেনা হেফাজতে থাকা রেদোয়ানুল ও রাফাতকে সর্বশেষ গত ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল-১ তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং পলাতক আসামিদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন। বিজ্ঞপ্তি ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। এরপর শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর দিন ধার্য থাকলেও প্রসিকিউশনের আবেদনে তা পরিবর্তন করে আজকের দিন ঠিক করা হয়।
দুই সেনা কর্মকর্তাকে পুনরায় হাজিরের দিন সুপ্রিম কোর্ট এলাকা, হাইকোর্টের প্রবেশপথ, ট্রাইব্যুনালের মূল ফটকসহ সর্বত্র নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি টহল দিচ্ছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
ডিআর/এমবি

