আকাশের যত তারা, আইনের তত ধারা : অ্যাটর্নি জেনারেল
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:২১
ছবি : সংগৃহীত
অ্যাটর্নি জেনারেল এম আসাদুজ্জামান বলেছেন, সাংবাদিকদের নিবর্তনের জন্য রাষ্ট্র বিভিন্ন ধরনের আইনের ধারা প্রয়োগ করছে। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক নিবর্তনের জন্য রাষ্ট্র অনেক রকম পথ খোলা রেখেছে। যেটা বলা হয়, আকাশের যত তারা, আইনের তত ধারা। সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ ও ভয় দেখানোর জন্য আইনের এই ধারা প্রয়োগ করা হয়।’
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্ট্যাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫’ সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ : ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা’ শীর্ষক পর্বে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করলেই সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ হবে না। এই ট্রেন্ড বা সাংবাদিক নির্যাতনের ধরন পরিবর্তনের জন্য রাষ্ট্রের মানসিকতা পরিবর্তন জরুরি। তিনি জানান, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে ঝুলে থাকা মামলাগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আগামীতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন, তাঁদের জন্য সাংবাদিকদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে নাগরিক অধিকার ও সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার পথ বের করতে হবে।
আলোচনায় অংশ নেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। তিনি বলেন, সাংবাদিক নির্যাতন কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এখনও যথেষ্ট নিশ্চয়তা পায়নি, যা উদ্বেগজনক।
সম্মেলনের এই পর্বে ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিসের সঙ্গে যৌথভাবে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কীভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর প্রভাব ফেলেছে’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীনেরা এই আইনকে সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভয় দেখানোর হাতিয়ারে পরিণত করেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ২০২০ ও ২০২১ সালে, এবং অনেক মামলা এখনও ঝুলে আছে।
এমএইচএস

