পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগ
শেখ হাসিনা, জয় ও পুতুলসহ ২৩ জনের মামলার রায় আজ
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৫
পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে ৩০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের তিন মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে।
মামলায় আসামি করা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ২৩ জনকে। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত রোববার (২৩ নভেম্বর) রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
দুদকের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম রায়ের তারিখ নিশ্চিত করেছেন। এদিন কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি, রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী খান মো. মাইনুল হাসান লিপন। তিনি শেখ হাসিনাসহ সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা আজীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেন।
অপরদিকে খুরশীদ আলমের পক্ষে আইনজীবী শাহীনুর রহমান যুক্তিতর্কে বলেন, তাঁর মক্কেল অভিযোগ থেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ। তিনি খালাস চান।
যুক্তিতর্ক শেষে দুদকের আইনজীবী খান মো. মাইনুল হাসান লিপন বলেন, ‘আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। আদালত সর্বোচ্চ সাজা দেবেন বলে আশা করি।’
প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছয়টি মামলা করে দুদক। পরে সব মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর মধ্যে তিন মামলার বিচারকার্য শেষ হয়েছে। শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ২২ জন বিদেশে থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
গত ১০ নভেম্বর এসব তিন মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। পরে ১৭ নভেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে খুরশীদ আলম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
গত ৩১ জুলাই এই তিন মামলাসহ ছয় মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। শেখ পরিবারের অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন — শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।
শেখ পরিবার ছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি–২) শেখ শাহিনুল ইসলাম এবং উপপরিচালক হাফিজুর রহমানসহ আরও কয়েকজন।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ দায়িত্বে থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও পূর্বাচল প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রোডের ছয়টি প্লট তাঁদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এনএ

