প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি
শেখ হাসিনার ৫, রেহানার ৭, টিউলিপের ২ বছর কারাদণ্ড
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৯
ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৫ বছর কারাদণ্ড, তার বোন শেখ রেহানাকে ৭ বছর কারাদণ্ড, মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে ২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অন্য ১৪ জন অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে কারা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। এদের মধ্যে একমাত্র মোহাম্মদ খুরশীদ আলম গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন; বাকিরা পলাতক।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।
গত শুনানিতে দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর তরিকুল ইসলাম আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে কারাগারে থাকা খুরশীদ আলমের পক্ষে আইনজীবী শাহীনুর রহমান অভিযোগ প্রমাণিত নয় দাবি করে খালাস চান।
পলাতকদের পক্ষে কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়নি। শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী তদন্ত শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া গত ১০ মার্চ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। এ বছরের ৩১ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
বিচার প্রক্রিয়ায় মোট ৩২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
ডিআর/এমবি

