আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে হাসনাত
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৯
শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্রাইব্যুনালে এসে পৌঁছান জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী এ সমন্বয়ক।
এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের সামনে তার সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩০ আসামির বিরুদ্ধে বিচার চলছে। তাদের মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। তারা হলেন- এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। বাকি ২৪ জন পলাতক। তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা লড়ছেন।
এর আগে ২৭ নভেম্বর ২১ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আজকের দিন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে ২৩ নভেম্বর আবু সাঈদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এক শিক্ষার্থী জবানবন্দি দেন।
গত ২৮ আগস্ট আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। একই দিনে সাংবাদিক মঈনুল হকও জবানবন্দি দেন। ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।
এর আগে ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ে ২৪ জুন। মোট ৬২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারিক কার্যক্রম এগোচ্ছে।
ডিআর/এমবি

