লালমনিরহাট বিমানবন্দর পুনরায় চালু করতে আইনি লড়াই শুরু
রাহেবুল ইসলাম টিটুল, লালমনিরহাট
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৩৬
ছবি : বাংলাদেশের খবর
লালমনিরহাটের পরিত্যক্ত বিমানবন্দর পুনরায় চালু করতে নির্দেশ না দেওয়ায় কেন আইনি কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না – তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আদালতের এ আদেশে লালমনিরহাটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি নতুন গতি পেয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত সোমবার এক রিটের শুনানির পর এ রুল জারি করেন। বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর প্রক্রিয়ায় নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এ রুলে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন গত ২৮ জুলাই এই রিট করেন। তিনি দাবি করেন, ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩১ সালে লালমনিরহাটে ১,১৬৬ একর জায়গায় বিমানবন্দরটি নির্মিত হয়। ১৯৪৭ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি ব্যবহৃত হলেও ১৯৫৮ সালের পর থেকে এটি সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।
আইনজীবী আরও উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালে বিমানবন্দরটি পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। একই বছরের ১৩ মার্চ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর তৎকালীন প্রধান এয়ার চিফ মার্শল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত সেখানকার অবস্থান পরিদর্শন করেন। তবে তার সেই পরিদর্শনের পর আর কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
লালমনিরহাটের বাসিন্দারা বিমানসুবিধা থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়, যা সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত যোগাযোগ ও চলাফেরার অধিকারের পরিপন্থী।
এই রুলের আদেশ লালমনিরহাটবাসীর মধ্যে নতুন আশা ও উদ্দীপনা তৈরি করেছে। এলাকাবাসীর দাবি, বিমানবন্দরটি চালু হলে আঞ্চলিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে।
এআরএস

