Logo

আইন ও বিচার

‘ওয়ারিশ মরে না’ শব্দগুচ্ছের ব্যাখ্যা কী?

Icon

আইন ও আদালত ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫১

‘ওয়ারিশ মরে না’ শব্দগুচ্ছের ব্যাখ্যা কী?

বাংলা ভাষায় ও আইনি পরিবেশে ‘ওয়ারিশ মরে না’ কথাটি সাধারণত ব্যবহৃত হয় যখন কোনো উত্তরাধিকারী নিজের বয়স বাড়ে বা দীর্ঘ সময় ধরে বাঁচে এবং ‘ওয়ারিশের মরণ’ পর্যন্ত সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায় না; সেই অর্থে কেউ মারা যাওয়ার আগেই তার মালিকানা দাবিকরা বা ভবিষ্যৎ ওয়ারিশদের অংশ ভাগ হয়ে যায় না।

আইনের দৃষ্টিতে এই কথাটির হুবহু ব্যাখ্যা নেই, তবে এর নিচে যে ধারণা রয়েছে তা হলো - একজন যার সম্পত্তি উত্তরাধিকারকে ছেড়ে যান সেটি তখনই আইনিভাবে তাঁর ওয়ারিশদের মধ্যে বণ্টন-প্রক্রিয়া শুরু হয় যখন তিনি আইনগতভাবে ‘মৃত’ বলে স্বীকৃত হন। অর্থাৎ আইন শুধুমাত্র মৃত্যুর পরেই উত্তরাধিকার বা ওয়ারিশের অধিকার/মালিকানা সৃষ্টি বা প্রযোজ্য বলে বিবেচনা করে; মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ‘ওয়ারিশের মরণ’ সম্পর্কিত কোনো আইনি ধারায় মনোনীত ফিক্সড মালিকানা বা বণ্টন হয় না। এই আইনি ভিত্তিকে সাধারণ ভাষায় বলা হয় ‘ওয়ারিশ মরে না’। 

‘ওয়ারিশ মরে না’ কথাটির আইনি ব্যাখ্যা : 

এই বাক্যটি আসলে যেটা বোঝায় একজন ব্যক্তি যদি বেঁচে থাকে, সে সময় তার ভবিষ্যৎ ‘ওয়ারিশদের ভাগ’ নির্ধারিত বা কার্যকর হয় না; আইনি মালিকানা সত্যিই তখনই জন্ম নেয় যখন ঐ ব্যক্তি মরে যায় এবং তারা উত্তরাধিকার অনুযায়ী তার সম্পত্তির অংশ পেতে সক্ষম হয়।

অন্যভাবে মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর আগ পর্যন্ত- মৃত্যুর পর তার অংশীদারি আইনি মালিকানা জন্ম নেয় না। মৃত্যুর পরেই ওয়ারিশের আইনি অংশ জন্ম নেয়, এবং আধিকারিক বা আদালত তা সার্টিফাই বা দলিল করে দেয়। 

এ কারণে প্রচলিতভাবে বলা হয় ‘ওয়ারিশ মরে না’ - এখানে উদ্দেশ্য হলো যে ওয়ারিশকে মৃত্যু পর্যন্ত মালিকানা থাকে না, এবং তার মালিকানা কল্যাণকর/বিচারযোগ্য হয় না যতক্ষণ মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার ক্রিয়া শুরু না হয়।

‘ওয়ারিশ মরে না’- এটি বাংলাদেশে আইনি ভাষায় কোনো নির্দিষ্ট আইন নয়, বরং একটি সাধারণ বোঝাপড়া যা বোঝায় মৃত্যুর আগে কোনো ওয়ারিশের আইনি মালিকানা জন্মায় না;

মৃত্যুর পরেই আইন অনুসারে ওয়ারিশ সনদ, নামজারি ও সম্পত্তির ভাগ কার্যকর হয়;  মৃত্যুর আগের সময়ে ওয়ারিশদের অংশের কোনো আইনি মালিকানা অধিকার সক্রিয় থাকে না।

বিকেপি/এনএ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

আইনি প্রশ্ন ও উত্তর আইন ও আদালত

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর