-681ae67dd8299.jpg)
যুদ্ধ মানে মৃত্যু, বিনাশ, পতন—
ইতিহাসের শীতল হাত
জ্বালায় শহরের ঘুমে তীব্র আগুন,
খেলার মাঠে পুঁতে রাখে প্রশ্নবিদ্ধ শিশুর চোখ।
একপাটি ছিটকে পড়া জুতো, ছিন্নভিন্ন কাশফুল,
দুপুরবেলা খোলা বইয়ের পাতায় রক্তের ছিটা—
লেখা হয় ‘সামরিক’ কড়া অভিধান।
দাবি ছিল, ‘স্বাধীনতা চাই’—
স্বাধীনতা কি কারখানায় তৈরি বুলেটের বিস্ফোরণ,
যার পেছনে বিনিয়োগ হয় শিশুনিকেতনের ভবিষ্যৎ!
সভ্যতার গান গেয়ে,
শান্তি বন্দি হয় নিরাপত্তা বাহিনীর কাঁটাতারে,
ভালোবাসাকে সন্দেহ করে সীমান্ত,
প্রেমের পঙক্তিতে খোঁজে গোপন সংকেত।
এখানে—
পাখির ডানায় জেগে উঠত সকাল,
এখন গুপ্ত ড্রোনের ভয়াল ওড়াউড়ি—
নির্বাক, নির্মম।
যুদ্ধ—
মুছে ফেলে শিশুর চোখের ঘুম,
মায়ের কোলের উষ্ণতা,
বাবার লেখা না-পড়া চিঠি।
যুদ্ধ—
আকাশে হেলিকপ্টারের গর্জন,
মাটিতে ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকা হাজারও গল্প।
অথচ আমরা সভ্যতার গান গাই,
শান্তির নামে কত শত মহড়া নামাই
আর পাখির স্বাধীনতা আটকায় সীমান্তরেখায়,
রাইফেলের শব্দে হারায় ভালোবাসার গান।
শিশুর মুখে ভাত নেই,
পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ ক্ষুধায় কাতর
অথচ ট্রিলিয়ন ডলার জোটে যুদ্ধাস্ত্রের জন্য।
যে নদীতে হাঁসেরা খেলা করতো
তা চলে গেছে সামরিক ট্যাংকের দখলে।
আকাশে ওড়ার কথা শান্তির পায়রা,
উড়ছে মিসাইল।
শবযাত্রা নামছে শহরে বন্দরে গ্রামে।
এইসব হাহাকার শেষ হোক,
আজ এক্ষুনি শেষ হোক,
সৈনিকেরা ঘরে ফিরুক,
চাষের লাঙল তুলে নিক কাঁধে,
সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে জমাক গল্পের আসর,
সন্তানের চোখে খুঁজে নেক পৃথিবী—
বলুক—
বেঁচে থাকা মানে ভয় নয়, হত্যা নয়, প্রেম।
বারুদ নয়, বকুল ফুটুক
যুদ্ধের ময়দানে বাজুক নিরস্ত্র করতালি,
সীমানার রেখা মিশে যাক গোধূলির রঙে।
যুদ্ধ ঝুলুক জাদুঘরের দেওয়ালে,
ইতিহাসের কলঙ্ক হয়ে,
মরিচা ধরা হেলমেটের নিচে লেখা থাক—
‘ভুল করেছিলাম, ক্ষমা করো।’
- বাংলাদেশের খবরের জীবনানন্দ (সাহিত্য) বিভাগে লেখা পাঠান এই মেইলে- bksahitya247@gmail.com
এমএইচএস