‘বাংলাদেশের ছাত্র বিপ্লব : নো ভ্যাট অন এডুকেশন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ বই প্রকাশ
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৯
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাংলাদেশের ছাত্র ও শিক্ষকদের ছয়টি ঐতিহাসিক আন্দোলন নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘বাংলাদেশের ছাত্র বিপ্লব : নো ভ্যাট অন এডুকেশন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ শীর্ষক গ্রন্থ। বইটি প্রকাশ করেছে ব্রাইট ফিউচার পাবলিকেশন, বাংলা বাজার (৩৮/২)। ৭০৮ পৃষ্ঠার আর্টপেপার সংস্করণের বইটির মূল্য দুই হাজার টাকা।
বইটি লিখেছেন ও সম্পাদনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস এবং নো ভ্যাট অন এডুকেশন আন্দোলনের মুখপাত্র ও প্রধান সমন্বয়ক ফারুক আহমাদ আরিফ।
গবেষণা ও সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস। বইটি পাওয়া যাচ্ছে প্রকাশকের কার্যালয়ে (ফোন: ০১৫৭৭৩৭০৪০১, ০১৯৭৯৮৮১১৩৩) এবং অনলাইনে রকমারি ডটকম ও খাতাপেন্সিল ডটকমে।
বইটিতে স্থান পেয়েছে দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ছয়টি জাতীয় আন্দোলন। এগুলো হলো—
-
২০১৫ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের ওপর ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদে ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’ আন্দোলন
-
২০১৮ সালে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর নেতৃত্বে আন্দোলন
-
২০১৮ সালের আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়ক আন্দোলন
-
২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
-
২০১৫ সালে শিক্ষকদের স্বতন্ত্র পে-স্কেলের দাবিতে আন্দোলন
-
২০২৪ সালে সর্বজনীন পেনশন প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন
এই ছয়টি আন্দোলন সাম্প্রতিক সময়ে বিজয়ী হওয়া অন্যতম জাতীয় আন্দোলন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বইটিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ, ছবি, কলাম, সাক্ষাৎকার, স্মৃতিচারণ, তৎকালীন মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের অভিমতসহ বিভিন্ন আঙ্গিকে এসব আন্দোলনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
এবিষয়ে অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘আমাদের দেশে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ কিংবা ১৯৯০ সালের আন্দোলনের ইতিহাস অনেক ক্ষেত্রেই যথাসময়ে লেখা হয়নি। ফলে সেসবের অনেক তথ্য হারিয়ে গেছে। এ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সাম্প্রতিক ছয়টি আন্দোলনের পূর্ণাঙ্গ তথ্য নথিভুক্ত করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, বইটি গবেষক, পাঠক ও সাধারণ পাঠকের জন্য মূল্যবান তথ্যসূত্র হবে।’
সহ-লেখক ফারুক আহমাদ আরিফ বলেন, ‘বইটিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, ছবি, কলাম ও সাক্ষাৎকার স্থান পেয়েছে। ছাত্র ও শিক্ষক আন্দোলনে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সহযোগিতাও উঠে এসেছে। তাই আমরা আশা করি, বইটি প্রত্যেক পাঠক ও পরিবারকে উপকৃত করবে।’
এআরএস

