৫০ হাজার সাবস্ক্রাইবার : বাংলাদেশের খবরকে বাবা’স বেকিং জোনের শুভেচ্ছা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৫, ০৮:৩৬

ছবি : বাংলাদেশের খবর
বাংলাদেশের খবর ইউটিউব চ্যানেল ৫০ হাজার সাবস্ক্রাইবারের মাইলফলক ছোঁয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জনপ্রিয় হোম বেকিং শপ বাবা’স বেকিং জোনের স্বত্বাধিকারী ওয়াসেকা তাসনীম এবং ইমরান হাসান তারিফ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) তারা এ উপলক্ষে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে নিজেদের তৈরি কেক পাঠান ‘বাংলাদেশের খবর’ পরিবারের জন্য। পরে বাংলাদেশের খবরের কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর আয়োজনে কেক কাটার মাধ্যমে উদযাপন করা হয় এই অর্জন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অন্যদের সঙ্গে কেক কেটে মুহূর্তটি ভাগাভাগি করে নেন মাগুরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন।
বাংলাদেশের খবরের ডিজিটাল এডিশনের প্রধান হাসনাত কাদীর উপহার পাঠানোর জন্য ওয়াসেকা এবং ইমরান হাসানকে ধন্যবাদ জানান এবং তার উদ্যোগ বাবা’স বেকিং জোনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
ওয়াসেকা তাসনীম একজন ফুলটাইম গৃহিণী হলেও আংশিক সময় উদ্যোক্তা হিসেবে হোম বেকিং নিয়ে কাজ করছেন। বরিশালে জন্ম নেওয়া ওয়াসেকার শৈশব কেটেছে দেশের বিভিন্ন জেলায়, বাবার চাকরির সুবাদে। সেই সময়কার এক মধুর স্মৃতি—স্কুলে যাবার সময় মায়ের কাছে ১০ টাকা চেয়ে পেস্ট্রি কেনার বায়না—আজও তার স্মৃতিকে নাড়া দেয়।
করোনাকালে তার স্বামী ইমরান হাসান তারিফ, যিনি পেশায় একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার, কন্যাদের ভালোবেসে কেক বানাতে শুরু করেন। সেই স্নেহের হাত ধরেই জন্ম নেয় বাবা’স বেকিং জোন। নামের ‘বাবা’ বলতে বোঝানো হয়েছে তাদের সন্তানের বাবা অর্থাৎ ওয়াসেকার স্বামীকে, যিনি মূলত রেড ভেলভেট কেকসহ নানা কেকের কারিগর।
২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর যাত্রা শুরু করা এই অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগ বর্তমানে নানা ধরনের হোমমেড কেক, আচার, গুড়সহ বেশ কিছু খাদ্যপণ্য নিয়ে কাজ করছে। বাবা’স বেকিং জোনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পণ্য—‘রেড ভেলভেট কেক উইথ হোমমেড ক্রিম চিজ ফ্রস্টিং’—যার সব উপাদান তৈরি হয় ঘরেই, বাজারজাত কোনো প্রস্তুত উপকরণ ছাড়াই।
ওয়াসেকা বলেন, শুধু পেজ খুললে হয় না, পরিচিত হতে হয়, মানুষের আস্থা অর্জন করতে হয়। শুরুতে সেই দায়িত্বটা আমি নিই—সবাইকে জানাই যে এই কেক একজন বাবার তৈরি—যার হাতে আছে সন্তানের জন্য ভালোবাসা। এটিই আমাদের আলাদা করে চিনিয়েছে।
ব্যবসার প্রতিটি পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী মিলে সব কিছু পরিচালনা করেন তারা। প্রতিদিন নতুন ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ, অর্ডার নেওয়া ও কনটেন্ট শেয়ার—সবই করেন নিজেরা। অনেক গ্রাহক তাদের কেক ফ্রিজ করে বিদেশেও নিয়ে যান বলে জানান ওয়াসেকা, যা তাদের কাজের প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালোবাসারই প্রমাণ।
বাংলাদেশের খবরের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে ওয়াসেকা বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের ইউটিউব চ্যানেলে ৫০ হাজার সাবস্ক্রাইবারের অর্জনে আমার তৈরি কেকের মাধ্যমে ভালোবাসা পাঠালাম।
ভবিষ্যতে নিজ উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করে দেশের প্রতিটি কোণায় বাবা’স বেকিং জোননের সেবা পৌঁছে দিতে চান ওয়াসেকা ও তার স্বামী। ভালোবাসা আর যত্নে গড়া এই পারিবারিক উদ্যোগের স্বপ্ন এখন আকাশ ছোঁয়ার।
এমএইচএস