Logo

গণমাধ্যম

গণমাধ্যমকর্মীদের নীতিমালা প্রত্যাখ্যান আরএফইডির

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১৩:৫৬

গণমাধ্যমকর্মীদের নীতিমালা প্রত্যাখ্যান আরএফইডির

নির্বাচন কমিশনের জারি করা ‘সাংবাদিক/গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫’ প্রত্যাখ্যান করেছে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)। একইসঙ্গে নীতিমালাটি সংশোধনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের অংশগ্রহণে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার (২৭ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে আরএফইডির সভাপতি কাজী জেবেল ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে আরএফইডি নেতারা বলেন, এ নীতিমালা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নাগরিকের নির্বাচনী তথ্য জানার অধিকারকে সংকুচিত করবে। বিশেষ করে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংবাদ সংগ্রহে গণমাধ্যমকর্মীদের অবাধ চলাচল, পর্যবেক্ষণ ও তথ্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করাটা গণতান্ত্রিক চর্চার পরিপন্থি। নীতিমালাটিতে সাংবাদিকদের নিরাপদ, স্বাধীন ও বাধাহীন কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই।

বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যা সংবাদ সংগ্রহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাবে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, নীতিমালায় বিগত নির্বাচন কমিশনগুলোর মতোই প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করে ছবি তোলা ও তথ্য সংগ্রহের শর্ত রাখা হয়েছে। যা বাস্তবতার নিরিখে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও গতি-উভয়ের সঙ্গেই সাংঘর্ষিক।

প্রশ্ন থেকে যায়- ভোট কারচুপির মতো গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎক্ষণিক বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে কি নিরপেক্ষ তথ্য সংগ্রহ আদৌ সম্ভব? এছাড়া একই ভোটকক্ষে একাধিক সাংবাদিকের প্রবেশ ও ১০ মিনিটের বেশি সময় অবস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে অযৌক্তিক সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে।

এতে গণমাধ্যমকর্মীদের কার্যপরিধি সংকুচিত হবে এবং নির্বাচনী অনিয়মের স্বতঃস্ফূর্ত ও নির্ভরযোগ্য পর্যবেক্ষণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। 

নীতিমালায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাদানকারী কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বা অন্য কারো বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—সে বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই। যা একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ঘাটতি।

এছাড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটকক্ষে সাংবাদিকরা কোনো নির্বাচনী কর্মকর্তা, এজেন্ট বা ভোটারের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে পারবেন না। যা তথ্য সংগ্রহের অধিকারের পরিপন্থি এবং নির্বাচনসংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে বাধাগ্রস্ত করবে।

যদিও সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি নীতিমালার একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত। আরএফইডির মতে এটি সামগ্রিক কাঠামোগত সীমাবদ্ধতাগুলোর তুলনায় অপ্রতুল। 

আরএফইডি নেতারা গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি যুগোপযোগী, গণমাধ্যমবান্ধব ও বাস্তবসম্মত নীতিমালা প্রণয়ন করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এসআইবি/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর