
বাংলাদেশের খবর
রাষ্ট্র সংস্কার সনদ চূড়ান্ত
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, হানাহানি, অবিশ্বাস আর প্রতিহিংসার রাজনীতির দীর্ঘ অধ্যায়ের পর এক নতুন সূর্যোদয়ের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। কফি বকাপের ধোঁয়ায় উড়তে থাকা মতাদর্শের ভিন্নতা, খাবারের টেবিলে ভিন্ন দলের নেতার সঙ্গে খোশগল্প, কিংবা নামাজের কাতারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো-এসব দৃশ্য গত ছয় মাস ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী উদ্যোগ- 'ঐকমত্য কমিশন' তার পর্দা টানার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু রেখে যাচ্ছে একরাশ স্মৃতি আর আগামীর বাংলাদেশের জন্য এক নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতির ভিত্তি। এটি শুধু রাষ্ট্র সংস্কারের এক মহাপরিকল্পনা নয়, বরং কয়েক দশকের বিভাজনের রাজনীতিতে ক্লান্ত জাতির জন্য এক ঝলক নির্মল বাতাস।
এক মিনি সংসদ
গেল ছয় মাস ধরে সবুজে ঘেরা শান্ত ফরেন সার্ভিস একাডেমি হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের এক 'মিনি সংসদ'। এখানে ডান, বাম, ইসলামপন্থি ও উদারনৈতিক-সব মতের রাজনৈতিক দলগুলো এক ছাতার নিচে বসেছে রাষ্ট্র সংস্কারের মতো জটিল এক বিষয় নিয়ে। ক্যান্টিনের ব্যস্ততা, করিডোরে নেতাদের পায়চারি, কিংবা আকস্মিক ফায়ার অ্যালার্মে সবার একসঙ্গে বেরিয়ে আসার মতো ঘটনাগুলো তৈরি করেছে এক পারিবারিক আবহ। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ এবং জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, যারা রাজনীতির মাঠে একে অপরের কড়া সমালোচক, তাদের যখন একসঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা যায়, তখন বোঝা যায় রাজনীতির ঊর্ধ্বেও একটি মানবিক সম্পর্ক সম্ভব। এই দৃশ্যই
বণিক বার্তা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : শিক্ষার মানে গুরুত্ব কম দিয়ে আওয়ামী সরকারের মতো ভবন নির্মাণে বড় প্রকল্প
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, গত দেড় দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বড় অংশই একাডেমিক কার্যক্রমের তুলনায় রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য আর সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পদপদবি দখলে বেশি ব্যস্ত ছিলেন। এতে গবেষণায় পিছিয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি, অবনতি ঘটে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের, শিক্ষার মানও হয় নিম্নমুখী। এর প্রতিফলন দেখা গেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন র্যাংকিংয়ে। একসময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম কুড়ালেও এসব র্যাংকিংয়ে কখনই বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে—এমন আকাঙ্ক্ষার কথা উঠে এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
যদিও হাসিনা সরকারের পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র খুব একটা বদলেছে বলে মনে করছেন না তারা। শিক্ষকদের একটি অংশ এখনো রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডে বেশি ব্যস্ত। শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব বিষয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। শিক্ষার মানের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ দেখা না গেলেও অবকাঠামোগত প্রকল্পে বেশ সক্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে রেকর্ড ২ হাজার ৮৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চলতি অর্থবছরের প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়। নতুন প্রকল্পে ছয়টি একাডেমিক ভবন, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয়টি আবাসিক হল, হাউজ টিউটরদের জন্য নয়টি ভবন, আবাসিক-প্রশাসনিকসহ আরো সাতটি ভবন নির্মাণের কথা রয়েছে। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এখন পর্যন্ত সর্ববৃহৎ প্রকল্প।
প্রথম আলো
মৌলিক সংস্কারের সব বিষয়ে মতৈক্য হয়নি
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক সংস্কারের সব প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। এর মধ্যে দলগুলোর ঐকমত্যের দলিল বা জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা করার দাবি উঠেছে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার লক্ষ্যে ছয়টি কমিশনের যেসব প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হবে, সেগুলো নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করা হবে। ৩১ জুলাইয়ের (আজ বৃহস্পতিবার) মধ্যে এই সনদ তৈরি করার লক্ষ্য রয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের। গত সোমবার দলগুলোকে সনদের একটি খসড়াও দেওয়া হয়েছিল। তবে সে খসড়ায় সনদ বাস্তবায়নের যে পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বেশ কিছু দলের আপত্তি আছে। গতকাল বুধবার ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি তুলেছে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি।
গতকাল দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিল সাতটি বিষয়। সেগুলো হলো ১. সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ চারটি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপদ্ধতি; ২. দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, উচ্চকক্ষের নির্বাচনপদ্ধতি ও ক্ষমতা; ৩. সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব (সংরক্ষিত নারী আসন বাড়ানো ও নির্বাচনপদ্ধতি); ৪. রাষ্ট্রপতির নির্বাচনপদ্ধতি; ৫. রাষ্ট্রের মূলনীতি; ৬. সংবিধানে নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ এবং ৭. রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব। মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়েও এখনো ঐকমত্য হয়নি।
এর মধ্যে গতকাল পুরোপুরি ঐকমত্য না হলেও রাত নয়টার দিকে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ঐকমত্য কমিশন। আর রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে দলগুলোকে একটি ধারণাপত্র দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়নি, এমন কয়েকটি বিষয়ে আজ ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
যুগান্তর
একশ খেলাপির পকেটে ৩ পদ্মা সেতুর টাকা
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণে জর্জরিত দেশের আর্থিক খাত রীতিমতো ‘ক্যানসারে’ রূপ নিয়েছে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শীর্ষ একশ ঋণখেলাপির কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা ১ লাখ ৮ হাজার ১৩২ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের ২৬ শতাংশ। এর মধ্যে ৬২টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ খেলাপি। এই ঋণের পুরোটাই আদায় অযোগ্য (কুঋণ)। এর বড় অংশই সরকারি ব্যাংকে। এই অর্থ দিয়ে তিনটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
সূত্র জানায়, শীর্ষ ১০০ খেলাপির তালিকায় উঠে এসেছে এস আলম গ্রুপের ১০ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৬১ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে মার্চ পর্যন্ত খেলাপি দেখানো হয়েছে ২২ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা। এই গ্রুপের আরও খেলাপি ঋণ রয়েছে। তবে সেগুলো শীর্ষ তালিকায় নেই।
খেলাপির তালিকায় রয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ। নামে-বেনামে গ্রুপটির ২৮টি প্রতিষ্ঠানের নামে ২৮ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ২৫ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। বেক্সিমকোর এই ২৮ প্রতিষ্ঠানের ২৬টিই শতভাগ খেলাপি। আবার শীর্ষ খেলাপি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৪৫ শতাংশই বেক্সিমকো এবং এস আলমের। শুধু এই দুটি গ্রুপের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোয় ইতোমধ্যে যে কুঋণ হয়েছে, তা দিয়েই পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলের ব্যয় মেটানো সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কালের কণ্ঠ
লাগামহীন খুন সন্ত্রাস চাঁদাবাজি
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে রাস্তার ধারে বর্বরতা চালিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করতে দ্বিধা করছে না। ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। অনেকে ভয়ে মুখ ফুটে পুলিশের কাছেও অভিযোগ করতে পারছে না। কারণ অভিযোগ করলেই প্রাণ হারাতে হতে পারে চাঁদাবাজচক্রের কাছে। বিভিন্ন স্থানে জিম্মি থাকা মানুষ তাই আতঙ্কের সঙ্গে বসবাস করছে। ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে মব সৃষ্টি করেও চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। গত ২৭ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদার বাকি অংশ নিতে আসা তরুণরা পুলিশি ফাঁদে ধরা পড়েন।
এ চাঁদাবাজির ঘটনার পর নতুন নতুন তথ্য বের হয়ে আসছে। কালের কণ্ঠের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, নরসিংদী, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন জেলায় অনেক ক্ষেত্রে চাঁদা না পেয়েও হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ভুক্তভোগীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে বিভিন্ন স্থানে। চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি অনেকে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে শুরু করে সাভার, ঝিনাইদহ, মিরসরাই, ময়মনসিংহ, আশুলিয়া, এমনকি চট্টগ্রাম পর্যন্ত চাঁদাবাজিবিরোধী আন্দোলনে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। কেউ শিক্ষক, কেউ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, কেউ বা পরিবহনচালক—তাদের একটাই অভিযোগ, সর্বত্র চাঁদাবাজি ও নিরাপত্তার অভাব।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
ঐক্য অনৈক্যের জুলাই সনদ
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ঐক্য আর অনৈক্যের দোলাচলে দুলছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘জুলাই সনদ’। প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত পাওয়া গেছে। কমিশনের পক্ষ থেকে উত্থাপিত ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে প্রথম পর্বের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো অনেক ইস্যুতে একমত হয়েছে, আবার অনেক বিষয়ে হয়নি। কিন্তু প্রথম পর্বের আলোচনার কোনো বিষয়েই সবাই একমত হতে পারেনি। তবে ৬২টি বিষয়ে দলগুলোর ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে আলোচনা শেষে ওই সব প্রস্তাবের ওপর সম্মতি প্রকাশ করে। এরআগে কমিশনের পক্ষ থেকে ঐকমত্যে পৌঁছানো ৬২টি বিষয় প্রস্তাব আকারে মোট ৩৮টি দলের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি দল তাদের মতামত কমিশনকে ফেরত দেয়নি। ৩৫টি দল প্রথম পর্যায়ের আলোচনার মতামত জানিয়েছিল।
কমিশন সূত্র জানান, কমিশনের পক্ষ থেকে উত্থাপিত ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে সংবধিান সংস্কারই ছিল প্রধান আলোচনার বিষয়। প্রথম পর্যায়ের আলোচনার ফলাফলে দেখা যায়, সংবিধান সংস্কার ইস্যু, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় একমত হয়েছে ৩০ দল; উচ্চকক্ষের সদস্যদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা নির্ধারণে একমত ২৪ দল; জাতীয় সংসদে নারী আসন বৃদ্ধি করে ১০০-তে উন্নীত করার ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হয় ১৯ দল, ডেপুটি স্পিকার পদে বিরোধী দল থেকে মনোনয়ন দিতে একমত হয় ২৯ দল, সংবিধানের ৭৮ (৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংসদের কমিটিসমূহ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার নির্ধারণে একমত ২৪ দল, রাষ্ট্রপতির অভিশংসন প্রক্রিয়ায় ২৮ দল একমত, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা হবে ‘বাংলা’য় ৩০টি দল একমত, বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসেবে বাঙালি এবং নাগরিকরা বাংলাদেশি বলে পরিচিত হবেন বিষয়ে ৩১ দল একমত, সংবিধানবিষয়ক অপরাধ ও সংবিধান সংশোধনের সীমাবদ্ধতাবিষয়ক বিদ্যমান সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ক এবং ৭খ বিলুপ্ত করতে একমত ২৮ দল, সংবিধানে ‘বাংলাদেশ একটি বহু-জাতি, বহু-ধর্মী, বহু-ভাষী ও বহু-সংস্কৃতির দেশ যেখানে সকল সম্প্রদায়ের সহাবস্থান ও যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে’ যুক্ত করতে একমত ৩৩ দল, মৌলিক অধিকারসমূহের তালিকা সম্প্রসারণে ৩১ দল একমত, আন্তর্জাতিক চুক্তি আইনসভায় অনুমোদনে একমত ২৩ দল, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাচন নির্বাচন কমিশনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে একমত ২৮ দল, সংবিধানে ‘সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং আইন দ্বারা নির্ধারিত সকল কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কার্যকরী স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা, জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কর্মসূচির অংশ না হলে, স্থানীয় পর্যায়ে সকল উন্নয়নমূলক কাজের উপর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ আর্থিক নিয়ন্ত্রণ এবং বাস্তবায়নের কর্তৃত্ব থাকবে’ যুক্ত করতে একমত হয়েছে ২৭ দল, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অধীনে ন্যস্ত করতে একমত হয়েছে ২৭ দল, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল সংগ্রহে একমত হয়েছে ২৪ দল, জেলা সমন্বয় কাউন্সিল প্রতিষ্ঠায় একমত ২৫ দল, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫০ (২) বিলুপ্ত করা এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম তফসিল সংবিধানে না রাখার বিষয়ে একমত ২৩ দল, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার ইস্যুতে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় রাজনৈতিক দলকে আওতাভুক্ত করতে একমত ২৪ দল।
নয়া দিগন্ত
২০ শতাংশে নামছে শুল্ক
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ঘোষিত নতুন পাল্টা শুল্কনীতির ছায়া যখন বাংলাদেশের রফতানি অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ডেকে আনে, ঠিক তখনই আশাব্যঞ্জক এক সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণার বিপরীতে, শেষ পর্যন্ত তা ১৫-২০ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে সূত্রমতে জানা গেছে। এটি বাস্তবায়িত হলে, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য এটি এক বিরাট কূটনৈতিক অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে।
ঘোষণা ও উদ্বেগ : শুল্কনাটকের পটভূমি : ২০২৫ সালের ৮ জুলাই, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। এর আগে ৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ৬০টি দেশের জন্য একই ধরনের শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছিল, তবে ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশকে উচ্চ শুল্কের ঝুঁকিতে ফেলা হয়।
বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, চামড়া, হস্তশিল্পসহ প্রধান রফতানি খাতগুলো এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় পড়ে। পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রে গড় শুল্কহার ছিল ১৫.৫ শতাংশ, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২-২৩ শতাংশে। ৩৫ শতাংশ হার কার্যকর হলে এটি হয়ে দাঁড়াত এক গভীর বাণিজ্যিক আঘাত।
প্রতিক্রিয়া : দ্রুত কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্যোগ : বাংলাদেশ সময় ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয় একটি বিশদ অবস্থানপত্র। এরপর ২৯ জুলাই থেকে ওয়াশিংটনে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনা। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তার সাথে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী। বৈঠকে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের দূতাবাসের শীর্ষ কূটনীতিকরাও অংশ নেন।