বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
২৪৫ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হলো বাংলাদেশকে

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৫, ১০:০৯

বাংলাদেশের খবর
শত আসনের উচ্চকক্ষে পিআর
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসন বিশিষ্ট। এই সদস্যরা মনোনীত হবেন সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর), অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনে দলগুলো যে ভোট পাবে, তার ভিত্তিতে দলগুলোর মধ্যে এসব আসন বণ্টন করা হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর কমিশন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। তবে এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দল ও জোটগুলো। তারা বলেছে, উচ্চকক্ষে সদস্য মনোনীত হতে হবে জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে।
গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২৩তম দিনের আলোচনা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আলোচনার শুরুতে বলেন, 'আমরা চেষ্টা করব দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে।' তিনি আশা প্রকাশ করেন, আজকের মধ্যেই আলোচনা পর্বের সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে। আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দ্রুত দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আগের ধারাবাহিকতায় গতকালও সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য কীভাবে মনোনীত হবেন, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো এ প্রস্তাব সমর্থন করে। অপরদিকে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো বিরোধিতা করে। সে সময়ও তারা সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দের দাবি জানায়।
আলোচনায় দলগুলোর ভিন্নমত থাকায় এক পর্যায়ে বিষয়টি কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা
প্রথম আলো
২৪৫ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হলো বাংলাদেশকে
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূতের বাসায়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) খামখেয়ালিজনিত এক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশকে দুই কোটি মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ২৪৫ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে।
খামখেয়ালিটি হলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২০০০ সালে হওয়া ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে (বিরোধ নিষ্পত্তির আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা) একটি মামলায় পক্ষভুক্ত না হওয়া। পক্ষভুক্ত হতে গেলে বাংলাদেশকে ৬০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হতো। তা করেনি পিডিবি। ফলে আইসিসি আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে একতরফা রায় হয়েছে। দুই যুগ পর এখন বাংলাদেশকে জরিমানা দিতে হয়েছে ৩৩৩ গুণ বেশি অর্থ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গত ১৯ মে পিডিবিকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, এ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ঋণ হিসেবে পিডিবিকে দেওয়া হবে, যা তারা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি স্মিথ কো-জেনারেশন (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডকে। হরিপুরে ১০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের স্পনসর (পৃষ্ঠপোষক) ছিল এই স্মিথ কো-জেনারেশন।
অবশ্য পিডিবি অর্থ বিভাগের ঋণ নেয়নি। সংস্থাটি নিজের তহবিল থেকে গত ২৩ মে ২৪৫ কোটি টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কোম্পানিটি।
এই পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করেই ২০২৪ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। জটিলতা এড়াতে তাঁরা দুজন পরে হোটেল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বাসায় (বাংলাদেশ হাউস) গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনজীবী ও পিডিবির তৎকালীন পর্ষদের খামখেয়ালির কারণে আজ এত বড় অঙ্কের অর্থ গচ্চা দিতে হলো। আইসিসির আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ না করাটা ছিল মস্ত ভুল। ফলে একতরফা রায় হয়েছে, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে।’
ঘটনা শুরু যেভাবে
মূল ঘটনা ১৯৯৭ সালের অক্টোবরের। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার হরিপুরে বেসরকারি খাতে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথ কো-জেনারেশন ইন্টারন্যাশনালের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্মিথ কো-জেনারেশন (বাংলাদেশ) প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে দুটি চুক্তি করে বাংলাদেশ। কোম্পানিটির সঙ্গে পিডিবির একটি চুক্তি হয় ১৯৯৭ সালের ১৪ অক্টোবর। দুই দিন পর ১৬ অক্টোবর সরকারের সঙ্গে আরেকটি চুক্তি হয় বিদ্যুৎ কেনার (পিপিএ)।
বণিক বার্তা
ট্রাম্পের নতুন শুল্কহার কার্যকর হচ্ছে আজ থেকে
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে পাল্টা শুল্কহার কার্যকর হবে। যদিও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ শুল্কহার নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান তৃতীয় দফা আলোচনা চলছিল। তবে ওয়াশিংটনে এ আলোচনার প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা সরকারি কর্তাব্যক্তিরা শুল্কহার নিয়ে ‘ভালো কিছু’র আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, ২৯ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক ইস্যু নিয়ে তৃতীয় ধাপের আলোচনা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ওইদিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বেলা ২টায় শুরু হয়ে বৈঠক চলে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। ৩০ জুলাই দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শুরু হয় ওয়াশিংটন সময় সকাল ৯টায়।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩১ জুলাই চূড়ান্ত আলোচনার শেষ দিনের বৈঠক বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হয়েছে। রাত ১টায় বৈঠক শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে অংশ নেয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। প্রতিনিধি দলে আরো আছেন প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী। দুদিনের বৈঠকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তারা ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছেন।
দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শুরুর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেছিলেন, ‘ভালো একটা ফলাফলের উদ্দেশ্যেই আমরা আলোচনা করছি। আলোচনা শেষ হলে চূড়ান্ত ফলাফল জানতে পারব।’ বৈঠকে অংশ নেয়া সরকারের আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা ৩৫ শতাংশ শুল্ক কমবে এমন ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে।’
প্রথম দুই দফার আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো বেশি পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনাসহ বেশকিছু বাণিজ্যিক বাধ্যবাধকতা-সংক্রান্ত শর্ত দিয়েছিলেন দেশটির কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশকিছু পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। যার অংশ হিসেবে দেশটি থেকে গম, তুলা, এলএনজি ও উড়োজাহাজ কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংকে প্রাথমিকভাবে ২৫টি ওয়াইড বডি উড়োজাহাজ কেনার প্রস্তাবও দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া চুক্তির প্রাথমিক প্রস্তাবের জবাবে এসব প্রস্তাব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। যার ওপর ভিত্তি করে তৃতীয় দফা আলোচনা শুরু হয়।
মানবজমিন
রাজনীতিতে উত্তাপ, কী হতে যাচ্ছে?
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি সামনে রেখে নতুন উত্তাপ দেখা দিয়েছে রাজনীতিতে। গণ-আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের বার্ষিকীতে জুলাই সনদ ঘোষণা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে। এ নিয়ে আছে টানাপড়েনও। অভ্যুত্থানের এক বছরের ব্যবধানে দলগুলোর মধ্যে বিভেদ বেড়েছে। নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে বাড়ছে দ্বন্দ্ব-বিতর্ক। এই সুযোগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থক গোষ্ঠী নানা অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে মাঠ গরম করছে। এই সময়ে তারা মাঠে নাশকতা করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে।
এজন্য সারা দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২৯শে জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট এই সময়ের মধ্যে নাশকতা হতে পারে বলে গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশের পর এ নিয়ে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে জনমনে। কেউ কেউ প্রশ্নও তুলেছেন এই সময়ে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে কেন এই উদ্বেগের তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। যদিও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ৫ই আগস্ট নিয়ে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি সরকার দেখছে না। ওদিকে, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ঘিরে এই অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া দলগুলো নানা কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। হুমকি দেয়া হচ্ছে। এসব কারণে মানুষের মাঝে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পরিস্থিতির মধ্যেই অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে জুলাই সনদ ঘোষণার আলোচনা শেষ হয়েছে। এখন এই সনদ ঘোষণা বা স্বাক্ষরের অপেক্ষায় আছে দলগুলো। আগামী দুু’একদিনের মধ্যেই এ সনদ চূড়ান্ত হবে বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে বলা হলেও সব দল এতে স্বাক্ষর করবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। দলগুলো জুলাই সনদে একমত হতে না পারলে অভ্যুত্থানের বার্ষিকীর এই সময়ে নতুন রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে কিছু কিছু বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে চরম বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায়। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকেও সামনের কয়েক দিনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি সামনের কয়েক দিনে জুলাই সনদ চূড়ান্ত হলে নির্বাচন নিয়েও ইতিবাচক একটি ঘোষণা আসতে পারে। অভ্যুত্থানের বার্ষিকী ৫ই আগস্ট সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন বলে জানানো হয়েছে। এই ভাষণে তিনি জাতীয় নির্বাচনের পরিকল্পনা তুলে ধরতে পারেন। নির্বাচনের স্পষ্ট ঘোষণা এলে এটি হবে জাতির জন্য একটি স্বস্তির খবর। তবে জুলাই সনদ নিয়ে নেতিবাচক কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আগামী চার-পাঁচদিন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য একটি ‘ক্রুশিয়াল’ সময়। এই কয়েকদিনে বোঝা যাবে সামনে কোথায় যাচ্ছে। কিন্তু একটি বিষয় নিশ্চিত, নির্বাচন দেরি হবে না।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। ৫ই আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ তৈরির বিষয়ে কাজ হচ্ছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘আগামী পাঁচ-ছয়টা দিনে বুঝবো যে, আমরা সামনে কোথায় যাচ্ছি। কিন্তু একটি বিষয় আপনি নিশ্চিত থাকেন, নির্বাচন দেরি হবে না। নির্বাচন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যে সময়ে বলেছেন, তার থেকে একটা দিনও দেরি হবে না।
নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রথমে বলেছিলেন নির্বাচন এপ্রিলের প্রথমার্ধে হবে। পরবর্তী সময়ে লন্ডনে বলা হয়েছে যদি অনেকগুলো সংস্কার হয় এবং বিচারের কাজগুলো এগিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে এটা ফেব্রুয়ারিতে হবে। তারা সেই জায়গায় এখনো আছেন। এটি একদিন দেরি হবে না, যাই হোক না কেন। সনদ বা ঘোষণাপত্র যাই হোক না কেন যেটা, যেভাবেই সনদ গ্রহণ করা হোক না কেন... নির্বাচন তার সময়মতো হয়ে যাবে। এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূসের দৃঢ় অবস্থান, পুরো উপদেষ্টা পরিষদেরই এখানে দৃঢ় অবস্থান। উপদেষ্টারা তাদের পুরনো কাজে ফিরে যেতে চাইছেন।
কালের কণ্ঠ
দুই কক্ষের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন রাষ্ট্রপতি
সংসদের উচ্চকক্ষে প্রতিনিধি নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি এবং সংবিধান সংশোধনে উচ্চকক্ষের ক্ষমতা নিয়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আপত্তি জানিয়েছে। সিপিবিসহ কয়েকটি দল উচ্চকক্ষ গঠনের বিরোধিতা করেছে। এ নিয়ে আলোচনায় সংলাপে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারপর বিএনপিসহ অন্যদের ‘নোট অব ডিসেন্ট’ (আপত্তি)-সহ পিআর পদ্ধতিতে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কমিশন।
একইভাবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও পিএসসি, দুদক, সিএজি ও ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সংবিধানে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিন বাহিনী ও দুই গোয়েন্দাপ্রধান নিয়োগ সরাসরি রাষ্ট্রপতির হাতে রাখার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দুই কক্ষের সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন রাষ্ট্রপতি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২৩তম দিনের আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংলাপে সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগ সম্পর্কিত বিধান; উচ্চকক্ষের গঠন, সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি, এখতিয়ার; রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, ইলেকটোরাল কলেজ; রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ সম্পর্কিত প্রস্তাব এবং রাষ্ট্রের মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
শেষ চেষ্টায় কমিশন
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকে ১৯ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য এবং সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
যেসব বিষয়ে ঐকমত্য বা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা জুলাই জাতীয় সনদে পরিণত করতে হবে। তিনি বলেন, ডিসেন্টসহ যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা হলো সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে অর্থবিল ও আস্থা ভোটের সঙ্গে সংবিধান সংশোধন ও জাতীয় নিরাপত্তা (যুদ্ধপরিস্থিতি) যুক্ত করা, নারী প্রতিনিধিত্ব, বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ ও সুপ্রিম কোর্ট বিকেন্দ্রীকরণ, পিএসসি, দুদক, সিএঅ্যান্ডজি এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সংবিধানে সংযোজন না করে সংশ্লিষ্ট আইনসমূহে প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা, উচ্চকক্ষ গঠন, রাষ্ট্রপতির নির্বাচন পদ্ধতি, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে উত্থাপিত সমন্বিত প্রস্তাবের ৮, ৯, ১১ এবং ১২ ক্রমিক নম্বর, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, সুরক্ষা এবং বাস্তবায়নে সাংবিধানিক ও আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি। অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, নারীদের আসন বৃদ্ধির প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি নোট অব ডিসেন্ট দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বিষয়ে গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাসদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নোট অব ডিসেন্ট প্রদানসহ সভা বর্জন করে। এ ছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল এ ইস্যুতে ভিন্নমত প্রদান করে। তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা বাস্তবায়নের পথ নিয়ে আলোচনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কমিশনও মনে করে যে কোনো প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট পথপদ্ধতি চিহ্নিত করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকেও এ ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ঐকমত্য কমিশন এ বিষয়ে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
যুগান্তর
কর্মসংস্থান বিনিয়োগে মন্দা
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে টানা সাড়ে তিন বছর চলছে মন্দা। গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপেও তা এখনো কাটেনি। বেসরকারি খাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসেনি, এখনো বিরাজ করছে অস্থিরতা। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিনিয়োগ। নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে না, বরং আগের চেয়ে কমেছে। চলতি বছরে অর্থনীতিকে তিন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এগুলো হচ্ছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈশ্বিক চাপ এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় লুটপাটের লুকানো তথ্য বেরিয়ে আসায় ব্যাংক খাতের দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির চাহিদা অনুযায়ী আর্থিক খাত ঋণের জোগান দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এদিকে, বৈশ্বিক খাতে গত এক বছরে সরকারের নেওয়া নানামুখী পদক্ষেপের ফলে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অব্যাহত পতন রোধ করা গেছে। এতে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে রিজার্ভ। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করে এ খাতে ঝুঁকি কমানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, গত এক বছরে আর্থিক খাতে সরকারের নেওয়া নানামুখী সংস্কার কার্যক্রম চলমান।
এর সুফল এখনো দেখা যাচ্ছে না। তবে চলতি অর্থবছর থেকে তা সামনে আসতে পারে। গত এক বছরে মূল্যস্ফীতির হারকে নিম্নমুখী করা, দেশ থেকে টাকা পাচার রোধ, নতুন করে ব্যাংক দখল ও লুট বন্ধ, ডলার বাজারে স্থিতিশীলতা আনা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে ঊর্ধ্বমুখী করা, বৈদেশিক ঋণের চাপ কমানোর প্রভাব এ বছর দৃশ্যমান হতে পারে।
কালবেলা
ফেব্রুয়ারি ধরেই নির্বাচনী প্রস্তুতিতে বিএনপি
কালবেলার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারি ধরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। ভোটের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণার পর পুরোদমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় মনোযোগ দেবে দলটি। তবে বিএনপির প্রত্যাশা, গত জুনে লন্ডন বৈঠকের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিশ্রুত সময়ে অর্থাৎ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকের পর গত ৯ জুলাই সব প্রস্তুতি—বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক প্রস্তুতিগুলো আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। লন্ডন বৈঠকের পরপরই সরকারের পক্ষ থেকে ইসিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বার্তা দেওয়া না হলেও আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক প্রস্তুতির এ আনুষ্ঠানিক নির্দেশনাকে সরকারের ‘নির্বাচন প্রস্তুতির প্রক্রিয়া’ হিসেবেই দেখছে বিএনপি। দলটির প্রত্যাশা, গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দেবেন, সেখানে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা থাকবে।
গত বুধবার ফেনীতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু জানান, আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে খালেদা জিয়া সেখানে অংশগ্রহণ করবেন। ভাইস চেয়ারম্যান হলেও দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রভাবশালী মিন্টুর এমন কথায় রাজনীতিতে হঠাৎ করে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কি তাহলে তাদের দলীয় অবস্থান পরিবর্তন করেছে? আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনের পুরোনো দাবিতে ফিরে এসেছে? তবে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা এমনটা মনে করেন না। তাদের মতে, বক্তব্য দিতে গিয়ে কথার রেশ ধরে তিনি এটা বলে থাকতে পারেন। এটাকে অন্যভাবে দেখার কিছু নেই।
ফেনীতে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছিলেন, নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। আমাদের দলের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
সভায় মিন্টু আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটা ডেট পেন্ডিং আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন হলে তার অধীনে ৯০ দিনে নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করবেন। এখন দেশে যে অবস্থা, তাতে ফেব্রুয়ারির আগেই নির্বাচন হতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের লন্ডনে কথা হয়েছে। দুজন যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই।
ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে খালেদা জিয়া তাতে অংশগ্রহণ করবেন— নিজের এই বক্তব্যের ব্যাখ্যায় মিন্টু কালবেলাকে বলেন, আমাদের প্রত্যাশা, লন্ডন বৈঠকের পর সরকারের প্রতিশ্রুত সময়ে অর্থাৎ আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে দেশে বর্তমানে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা থেকে উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনই একমাত্র সমাধান। এমন অবস্থায় নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কথার রেশ ধরেই ডিসেম্বরের কথা বলেছি। এখানে অন্য কোনো বিষয় নেই।
জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল কালবেলাকে বলেন, ‘আমার মনে হয়, উনি (আব্দুল আউয়াল মিন্টু) কথার পিছে কথা বলেছেন। উনি বক্তব্যের একটা পর্যায়ে বলেছেন, বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি তাতে নির্বাচন ডিসেম্বর, জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে হয়ে যেতে পারে। তারপরে বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে তাতে বেগম খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করবেন। আমি যতটুকু বুঝেছি, কথার রেশ ধরে ডিসেম্বরের কথা এসেছে।’