Logo

গণমাধ্যম

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

যুক্তরাষ্ট্রের বাজার : শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৩

যুক্তরাষ্ট্রের বাজার : শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজার : শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার পর বাংলাদেশের ওপর দেশটির আরোপ করা পাল্টা শুল্কের হার শেষ পর্যন্ত ২০ শতাংশ নির্ধারিত হয়েছে। নতুন শুল্কহার ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় এ কথা বলা হয়। বাণিজ্য বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্কহার কমে প্রতিযোগীদের কাছাকাছি অবস্থানে আসার ঘটনা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তিদায়ক।

২৯ জুলাই থেকে তিন দিনের আলোচনা ও দর-কষাকষির শেষ দিন ৩১ জুলাই এ ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭০টি দেশের ওপর ১০ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসে।

পাল্টা শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ নামিয়ে আনতে বাংলাদেশের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রকেও বেশ কিছু সুবিধা দিতে হয়েছে। একদিকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দেশটি থেকে আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে শুল্কহার প্রায় শূন্য করে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘কমল শুল্কহার, স্বস্তিতে সরকার’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা খন্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা হক্কারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে নতুন এই শুদ্ধহার ঘোষণা করা হয়। সবশেষ বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে ৩৫ শতাংশ পাল্টা অঙ্কের কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। সেই হিসাবে শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে নতুন হার ঘোষণা করা হয়েছে।

ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আদেশে বাংলাদেশ ছাড়াও কয়েক ডজন দেশের ওপর মার্কিন শুন্ধের হার তুলে ধরা হয়েছে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫, ভারতের ওপর ২৫, ব্রাজিলের ওপর ১০, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯, মিয়ানমারের ওপর ৪০, ফিলিপাইনের ওপর ১৯, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ ও ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে ওয়াশিংটন। এদিকে বাংলাদেশি পশোর ওপর গুপ্তহার কমানোর ঘোষনায় দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমেরিকার শুষ্ক কমানোর ঘোষনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি লেখেন বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দফার শুভ আলোচনা শেষ হওয়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে স্টেটমেন্ট দিয়ে জানানো হয়-বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ অস্কারোপ করা হয়েছে। এর আগে এই শুদ্ধারোগ করা হয়েছিল ৩৭ শতাংশ। পরে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়।

সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সুবিধা দিয়ে বাড়তি শুল্কে ছাড় পেল বাংলাদেশ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পাল্টা শুল্ক’ শেষ পর্যন্ত ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে তৃতীয় দফার আলোচনার শেষ দিনে এবং ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগ মুহূর্তে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছে বাণিজ্য চুক্তি করে। চুক্তিতে বাংলাদেশ কী কী সুবিধা যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। এটি নিশ্চিত, সে দেশ থেকে আমদানি ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। নতুন শুল্ক ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও প্রস্তুতির জন্য আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত সময় নেওয়া হয়েছে। 

প্রথমে ৩৭ শতাংশ এবং পরে ৩৫ শতাংশ ঘোষণা করে আলোচনার সুযোগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। শুধু বাংলাদেশ নয়, সবার ক্ষেত্রে একই কৌশল নেন তিনি। আলোচনার মধ্যেই বাণিজ্য সচিব জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার অর্ডার দিয়েছে। অন্যদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় ৫ বছরে ৩৫ লাখ টন গম কেনার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এর আগে বাজেটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হয় এমন প্রায় ১০০ পণ্যে শুল্ক ছাড় দেয়।

নতুন শুল্কহারকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। সরকার মনে করছে, কূটনৈতিক সাফল্যের কারণে বাড়তি শুল্ক কমানো সম্ভব হয়েছে। আর রপ্তানিকারকরা বলেছেন, বাড়তি ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা তাদের জন্য আপাতত স্বস্তির খবর। আবার প্রতিযোগীদের সঙ্গে সমান বা কাছাকাছি এবং কারও কারও চেয়ে কম শুল্ক বাংলাদেশের ওপর কার্যকর হয়েছে। ফলে সার্বিকভাবে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান তৈরি হয়েছে।  তবে পণ্যভিত্তিক শুল্কের সঙ্গে বাড়তি ২০ শতাংশ যোগ হলে ৩৫ শতাংশ হবে। আগের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি শুল্কে আমদানির ফলে মার্কিন ক্রেতা এবং স্থানীয় ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমতে পারে। ফলে রপ্তানির ওপর চাপ আসতে পারে। 

কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘শুল্ক চাপে কিছুটা স্বস্তি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক অবশেষে ৩৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে দেশের রপ্তানি খাত। দীর্ঘ আলোচনার টানাপড়েন, কূটনৈতিক দর-কষাকষি আর অনিশ্চয়তার মাঝে অবশেষে এলো সেই প্রত্যাশিত ঘোষণা। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে নতুন এই হার ঘোষণা করা হয়। সর্বশেষ বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। সে হিসাবে শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে নতুন হার ঘোষণা করা হয়েছে।

ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এই নির্বাহী আদেশ জারির সাত দিন পর বাংলাদেশের ওপর সংশোধিত শুল্ক কার্যকর হবে।  সেই হিসাবে বাংলাদেশকে বর্তমানের গড় ১৫ শতাংশ ও নতুন পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ, অর্থাৎ মোট ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে হবে।

আদেশে বাংলাদেশ ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশের ওপর মার্কিন শুল্কের হার তুলে ধরা হয়েছে। অন্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মায়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, ফিলিপিন্সের ওপর ১৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে তিনদিনের যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। ঘোষণায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের জন্য সংশোধিত শুল্কহার উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘোষণা অনুযায়ী, পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, ফিলিপাইনের ওপর ১৯ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

এর আগে, এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে, ৯ই এপ্রিল থেকে তিন মাসের জন্য এই শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়; যাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়। তিন মাসের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগের দিন, ৮ই জুলাই, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি চিঠি দিয়ে জানান, বাংলাদেশের ওপর শুল্ক ২ শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে। তবে, এই হার বাস্তবে কার্যকর হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের বেঁধে দেয়া ৩১শে জুলাইয়ের সময়সীমার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বাণিজ্য আলোচনা শেষে পূর্ব ঘোষিত শুল্কহার থেকে ১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করা হলো। 

যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘অবশেষে সমঝোতায় পৌঁছাল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র : পণ্য রপ্তানিতে ২০% শুল্ক’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবশেষে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের বড় অর্থনৈতিক অংশীদারের সঙ্গে মাসব্যাপী চলা অচলাবস্থার অবসান হলো। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ২০ শতাংশ শুল্কের নতুন হার ঘোষণা করেছে। সর্বশেষ বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে ৩৫ শতাংশ পালটা শুল্কের কথা জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। এরপর তৃতীয় দফা বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে নতুন হার ঘোষণা করা হলো, যা কার্যকর হবে ৭ আগস্ট থেকে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক এই বাণিজ্য চুক্তির প্রশংসা করে বলেছেন, এটি আমাদের কূটনৈতিক অঙ্গনে একটি উল্লেখযোগ্য বিজয়। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ও বিশ্ব অর্থনীতি পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অংশীদারদের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনামসহ অনেক দেশের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি করেছেন ট্রাম্প। 

বণিক বার্তা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের ওপর আরোপিত শুল্কহার নামল প্রতিযোগীদের কাছাকাছি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রফতানিতে ভিয়েতনামের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন আরোপিত পাল্টা শুল্কহার ২০ শতাংশ। মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের অন্যতম আরেক প্রতিযোগী ভারতের ওপর এ হার ২৫ শতাংশ। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ১৯ শতাংশ। হোয়াইট হাউজের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী ঘোষণায় এ প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছাকাছি রয়েছে বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা শুল্কহার, যা ২০ শতাংশ।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশে ৭০টিরও বেশি দেশের ওপর ১০ শতাংশ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত রেসিপ্রোকাল (পারস্পরিক) বা পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তিনি একে বর্ণনা করেছেন দীর্ঘদিনের বাণিজ্যগত অসাম্য দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে।

যুক্তরাষ্ট্রে সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৮৩৬ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করেছে ২২১ কোটি ডলারের পণ্য। এ হিসাবে বাংলাদেশের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ৬১৫ কোটি ডলারের।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মোট রফতানির ৮৭ শতাংশই তৈরি পোশাক। এ শিল্প মালিকরা বলছিলেন ভিয়েতনাম ছাড়া বাকি তিনটি দেশ—চীন, ভারত ও পাকিস্তানের ওপর আরোপিত শুল্কহার যদি বাংলাদেশের কাছাকাছি হয়, তাহলে খুব বেশি শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্জন হলো ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছাকাছি শুল্কহার আদায় করা।

এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর